আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে এ বার বিঁধতে শুরু করল শরিকরাও

রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, মোদীর প্রবল প্রতাপ এবং বিজেপি-র একার হাসিল করা সংখ্যার দাপটে এনডিএ-র সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা অনেকটাই লঘু হয়ে গিয়েছে ২০১৯-এর ভোটের পর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:২৬
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

মহারাষ্ট্রে ভোটের পর প্রাচীনতম শরিক শিবসেনা বিজেপিকে ছেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি মুখ থুবড়ে পড়ার পর অন্য শরিকরাও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করল। শিরোমণি অকালি দলের নেতা নরেশ গুজরাল যেমন বলেছেন, ‘‘দেশের অর্থনৈতিক হাল উদ্বেগজনক। আমরা সবাই চিন্তিত। কর্মসংস্থানের অভাব এবং ক্রমক্ষীয়মাণ আর্থিক বৃদ্ধির কারণেই বেকারিত্ব বাড়ছে।’’

Advertisement

রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, মোদীর প্রবল প্রতাপ এবং বিজেপির একার হাসিল করা সংখ্যার দাপটে এনডিএ-র সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা অনেকটাই লঘু হয়ে গিয়েছে ২০১৯-এর ভোটের পর। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যগুলির ভোট, বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে পুরনো শরিক হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা যথেষ্ট থাক্কা দিয়েছে মোদী-অমিত শাহকে। বৃদ্ধির হার আরও কমায় এই মুহূর্তে কিছুটা উজ্জীবিত বিরোধীরা। আগামী সোমবার থেকে সংসদে তাঁরা মুখ খুলবেন। কিন্তু তার পাশাপাশি শরিকদের দিক থেকেও সমালোচনার তির ধেয়ে আসাটা বিজেপির কাছেযথেষ্টই অস্বস্তির।

অকালির পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্যে (বিহার) শরিক দল জেডিইউ-এর নেতা কে সি ত্যাগীও বিঁধেছেন মোদীকে। তাঁর কথায়, ‘‘আরবিআই-এর পুরনো গভর্নরেরা অথবা অর্থনীতিবিদদের করা সতর্কতা অবজ্ঞা করা বা তা নিয়ে মস্করা করা উচিত নয় সরকারের। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মতো ব্যক্তিদের ডেকে এনে আলোচনা করা উচিত। কারণ এটা নিয়ে ঝগড়া করার মানে হয় না।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: মুক্তি পাবেন শিবিরে আটক আরও ১৩ জন

বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিজেপি শরিকদের সঙ্গে পরামর্শ করছে না— এই অভিযোগ মোদীর আগের জমানাতেও ছিল। কিন্তু প্রকাশ্যে বিশেষ মুখ খুলতে দেখা যায়নি কাউকে। আজ কিন্তু অকালি নেতা নরেশ গুজরাল বিষয়টি নিয়ে সরব হয়ে বলেন, ‘‘শরিকরা খুবই মনঃক্ষুণ্ণ। সবচেয়ে পুরনো শরিক শিবসেনা ইতিমধ্যেই বেরিয়ে গিয়েছে। অন্যরা বেরোনোর গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শরিকরা তো কোনও পদ চাইছে না। কিন্তু আলোচনা কেন করা হবে না?’’ শুধু আর্থিক বৃদ্ধি মুখ থুবড়ে পড়াই নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলি বিক্রি করে দেওয়া এবং কৃষি সঙ্কট নিয়েও আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন জেডিইউ নেতা। অন্য দিকে অকালি নেতার মতে, ‘‘মোদীর মন্ত্রিসভায় কাজের লোকের অভাব রয়েছে। যে সব মন্ত্রীরা যোগ্য, সেই সব মন্ত্রক ভাল করছে। কিন্তু বেশির ভাগেরই সেই দক্ষতা নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement