বিধায়কের ভাইপো ময়ূর মোহিত। ছবি: সংগৃহীত।
পোর্শেকাণ্ডের পর আবারও গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বাইকচালকের। এ বার অভিযোগ উঠেছে ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (অজিত পওয়ার)-র বিধায়ক দিলীপ মোহিত পাটিলের ভাইপো ময়ূর মোহিতের বিরুদ্ধে। তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে পুণে-নাসিক হাইওয়েতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। বিধায়কের ভাইপোর গাড়ির ধাক্কায় যে যুবকের মৃত্যু হয়েছে, তাঁর নাম ওম ভালেরাও। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, টয়োটা ফরচুনার গাড়িতে ছিলেন ময়ূর। তিনি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। রাস্তার উল্টো লেন ধরে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। সেই সময়েই সামনের দিক থেকে আসা একটি বাইককে ধাক্কা মারেন মোহিত। বাইকে ছিলেন ওম ভালেরাও। তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
গাড়ির দুর্ঘটনার পর পরই বিধায়ক দিলীপ মোহিত দাবি করেন, তাঁর ভাইপো ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাননি। শুধু তা-ই নয়, বিধায়ক আরও দাবি করেছেন যে, মত্ত অবস্থায় ছিলেন না ময়ূর। পোর্শেকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও সেই একই রকম ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি উঠতে শুরু করেছে।
গত ১৯ মে পুণের কল্যাণ নগরে দুই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারকে পোর্শে দিয়ে চাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। সারা রাত পার্টি করে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় কিশোরের বাবা, দাদু এবং মা গ্রেফতার হয়েছেন। কিশোরকে ‘অবজার্ভেশন হোম’-এ রাখা হয়েছে। দুই ইঞ্জিনিয়ারকে চাপা দেওয়ার পর কিশোরকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও কিছু ক্ষণের মধ্যেই জামিন পেয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, জুভেনাইল আদালত শাস্তি হিসাবে ওই কিশোরকে ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে করার নির্দেশ দিয়েছিল এবং পথ নিরাপত্তার উপর ৩০০ শব্দের প্রবন্ধও লিখতে বলে। যার জেরে আদালতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।