এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। -ফাইল চিত্র।
আরিয়ান-কাণ্ডে রাজনীতির যোগের পর এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে মলদ্বীপ এবং দুবাইয়ে তোলা আদায়ের অভিযোগ এনেছেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। এর পরই বৃহস্পতিবার আঞ্চলিক অধিকর্তা সমীরের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত অভিযোগ ভুয়ো বলে দাবি করে এনসিবি।
২ অক্টোবর মুম্বই উপকূলে প্রমোদতরী থেকে শাহরুখ-তনয় আরিয়ান খানের গ্রেফতারি নিয়ে জলঘোলা অব্যাহত। সেই মামলায় এনসিবি-র তদন্তকারী আধিকারিক সমীরের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। তাঁর প্রথম অভিযোগ ছিল, পরিচিতদের সাক্ষী বানিয়ে প্রমোদতরীতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন সমীর। অভিযোগের পক্ষে কয়েকটি ছবিও নেটমাধ্যমে প্রকাশ করেন নবাব। তদন্তে রাজনীতির যোগ থাকার অভিযোগও আনেন তিনি। সম্প্রতি ফের নেটমাধ্যমে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন নবাব। ছবিগুলি মলদ্বীপ এবং দুবাইয়ের বলে দাবি করে তিনি অভিযোগ করেন,অতিমারির সময়ে এই সমস্ত জায়গায় আরও অনেক তারকার সঙ্গে হাজির ছিলেন সমীর। সমীর যে তোলাবাজি করেছিলেন, তার স্বপক্ষে প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।
এনসিপি নেতার এই অভিযোগের পরই প্রকাশ্যে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন সমীর। অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মন্ত্রী সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দিচ্ছেন। আমি মলদ্বীপে গিয়েছিলাম আমার পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে। আর আমার কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি নিয়েই গিয়েছিলাম। সেখানে আর কারও সঙ্গে আমি দেখা করিনি এবং এই বিষয়ে আর কোনও ব্যাখ্যাও আমি দিতে রাজি নই। শুধু এটুকু বলতে চাই তিনি যে সময়ে আমার বিরুদ্ধে দুবাইয়ে থাকার অভিযোগ এনেছেন, ডিসেম্বরের ওই সময়ে আমি মুম্বইয়ে ছিলাম। প্রয়োজনে তদন্ত করেও দেখা হোক।”
সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমার পরিবারের সমস্ত লোকের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। আমি সত্যের জন্য লড়ছি, এটাই এর একমাত্র কারণ। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনার জন্য ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব আমি। আমাদের দেশের একটি বিচারব্যবস্থা রয়েছে, সিনিয়রদের অনুমতি মিললে সে পথেই হাঁটব।” এর পর এনসিবি-ও সমীরের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে।