নরেন্দ্র মোদী এবং নয়াব সিংহ সাইনি। ছবি: পিটিআই।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বুধবার সর্বসম্মত ভাবে হরিয়ানায় বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে দ্বিতীয় বারের জন্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নয়াব সিংহ সাইনি।
পঞ্চকুলার শালিমার গ্রাউন্ডে রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়র কাছে বৃহস্পতিবার সাইনি ছাড়াও শপথবাক্য পাঠ করেন অনিল ভিজ, কৃষ্ণলাল পানওয়ার-সহ ১২ জন বিজেপির মন্ত্রী।সেখানে ছিলেন প্রায় ৫০ হাজার দর্শক এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এনডিএ শাসিত সমস্ত রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রীরাও হাজির ছিলেন পঞ্চকুলায়। প্রসঙ্গত, হরিয়ানা বিধানসভার আসনসংখ্যা ৯০। বিধি অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ ১৩ জন সদস্য় থাকতে পারেন।
হরিয়ানার নতুন সরকারের শপথ স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে দেয়। প্রসঙ্গত, বুধবার পঞ্চকুলাতেই বিজেপির নবনির্বাচিত পরিষদীয় দলের বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শাহ এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরও। ওই বৈঠকেই সর্বসম্মত ভাবে বিজেপির বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন সাইনি।
এ বারের ভোটে ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় ৪৮টি আসনে জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। টানা এক দশক ক্ষমতায় থাকার পরেও ‘প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া’ অতিক্রম করে হরিয়ানায় জয়ের হ্যাটট্রিকের নতুন নজির গড়েছে পদ্মশিবির। প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস জিতেছে ৩৭টিতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল (আইএনএলডি) দু’টি এবং নির্দল প্রার্থীরা তিনটি আসনে জিতেছেন। গত মার্চে পঞ্জাবি জনগোষ্ঠীর নেতা খট্টরকে সরিয়ে দলে অনগ্রসর (ওবিসি) ‘মুখ’ সাইনিকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এ বারের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস এবং বিজেপি দু’দলই হরিয়ানায় পাঁচটি করে আসনে জিতেছিল। তাই প্রাথমিক ভাবে সাইনির লড়াই ‘কঠিন’ মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্বে লড়েই বিধানসভা ভোটে জয় পেয়েছে বিজেপি।