ফাইল চিত্র।
ফের কংগ্রেস হাই কমান্ডের উপরে চাপ বাড়িয়ে সরব নভজ্যোত সিংহ সিধু। পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি, কংগ্রেস নিজের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে দিক। কারণ কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ, তা পঞ্জাবের মানুষ জানতে চান। মুখে না বললেও তিনি যে নিজেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী দেখতে চান, তা স্পষ্ট করে দিয়ে সিধু বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নীর কাজকর্মে উন্নতির সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। ধর্ম অবমাননার তদন্তে ঢিলেমি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন।
বুধবার সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে পঞ্জাব নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা নিয়ে কংগ্রেসের বাছাই কমিটির বৈঠক ছিল। ঠিক তার আগেই সিধু কংগ্রেস হাই কমান্ডের উপরে চাপ বাড়িয়েছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ভোটে কংগ্রেস জিতলে ফের দলিত নেতা চন্নীকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, এই আশঙ্কাতেই তিনি চাপ বাড়াচ্ছেন। কারণ কংগ্রেস হাই কমান্ড সূত্রে আগেই বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কারও নাম ঘোষণা হবে না। সম্মিলিত নেতৃত্বে ভোট হবে।
পঞ্জাবে ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াইয়ে কংগ্রেসের হয়ে রাহুল গাঁধী ৩ জানুয়রি পঞ্জাবে প্রচারে করবেন। উল্টো দিকে ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা দিয়ে পঞ্জাবে নির্বাচনী প্রচার শুরুর লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি। ওই দিন ফিরোজপুরের পিজিআইএমআর ক্যাম্পাসের পোস্ট গ্রাজুয়েট ভবনের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে মোদীর। তার পরে জনসভা করবেন। বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর পঞ্জাবের মানুষের জন্য সেটিই হবে মোদীর প্রথম বার্তা। তার আগেই নতুন শরিক অমরেন্দ্র সিংহের পঞ্জাব লোক কংগ্রেস ও শিরোমণি অকালি দল (সংযুক্ত)-র সঙ্গে আসন সমঝোতা সেরে ফেলতে চায় বিজেপি।
দায়িত্বে রয়েছেন হোসিয়ারপুরের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোমপ্রকাশ। গত সোমবারই অমিত শাহ অমরেন্দ্রর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে ১১৭ সদস্যের বিধানসভায় ৬০টির মতো আসনে লড়বে বিজেপি। বাকি আসন ভাগ হবে অন্য দুই শরিকের মধ্যে। যে দল যেখানে শক্তিশালী, সেই দল সেখানে লড়বে— এমন নীতি নিয়েই এগোনো হবে। বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, অমরেন্দ্রের দল কতটা কংগ্রেস প্রার্থীদের ভোট কাটতে পারে, তার উপরেই বিজেপির রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ভর করছে।