উদ্বিগ্ন? -ফাইল ছবি।
লোকসভা ভোটের পর পঞ্জাবে কংগ্রেসের অন্তর্কোন্দল আরও প্রকাশ্যে চলে এল। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের সঙ্গে বিরোধের জেরে গুরুত্বপূর্ণ দফতর কেড়ে নেওয়া হয়েছিল মন্ত্রী নভজ্যোত সিংহ সিধুর। দেওয়া হয়েছিল তুলনায় হাল্কা দফতর। এ বার আরও ডানা ছাঁটা হল তাঁর। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়নে মূল ভূমিকা নেয় যে ৮টি উপদেষ্টা কমিটি, তার সবক’টি থেকেই বাদ দেওয়া হল সিধুকে।
লোকসভা ভোটের সময় পর্যন্ত পঞ্জাবের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন সিধু। ভোটের ফল বেরনোর পর মন্ত্রিসভার রদবদলে তাঁর হাত থেকে ওই গুরুত্বপূর্ণ দফতরটি কেড়ে নেওয়া হয়। সিধুকে দেওয়া হয় তুলনায় হাল্কা বিদ্যুৎ ও শক্তি দফতরের দায়িত্ব। মন্ত্রিসভায় তাঁর দায়িত্ব কাটছাঁট হচ্ছে, এই খবর পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকও এড়িয়ে যান সিধু। নতুন দফতরের দায়িত্বও এখনও পর্যন্ত গ্রহণ করেননি তিনি।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সিধুর বিরোধ অনেক দিনের। এ বার লোকসভা নির্বাচনে চণ্ডীগড় আসনে তাঁর স্ত্রী নভজ্যোত কউরকে টিকিট দেওয়া হোক, এই দাবি জানিয়েছিলেন সিধু। কিন্তু মূলত মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের আপত্তির জেরেই টিকিট পাননি সিধুর স্ত্রী। এর পর থেকেই নতুন মাত্রা পায় সিধু-অমরেন্দ্রর সঙ্ঘাত। মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যে তা বার বার প্রকাশ্যে চলে আসে। লোকসভা ভোটের প্রচার-পর্বে সিধু সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘২০১৫-য় পুলিশি গুলিচালনার ঘটনায় অভিযুক্ত তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল ও তাঁর পুত্র সুখবীর সিংহ বাদলকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি?’’ তার প্রেক্ষিতে ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ বলেছিলেন, ‘‘উনি (সিধু) যদি সত্যি সত্যিই এক জন অনুগত কংগ্রেস কর্মী হতেন, তা হলে ভোটের সময় এই প্রশ্ন না তুলে তা অন্য সময় তুলতেন।’’
আরও পড়ুন- জঙ্গি হানার পর এই প্রথম কোনও বিদেশি নেতার পদার্পণ, কলম্বোয় পৌঁছলেন মোদী
আরও পড়ুন- ‘গন্ডগোলটা রাজনৈতিক নেই’ দাবি বিজেপির, সুপারি কিলার দিয়ে খুন, পাল্টা জ্যোতিপ্রিয়র
পঞ্জাবে ১৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে এ বার কংগ্রেস পেয়েছে ৮টি আসন। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ বলেছিলেন, ‘‘পাকিস্তান নিয়ে সিধু যদি বিতর্কিত মন্তব্য না করতেন, তা হলে ভাটিন্ডা-সহ রাজ্যের শহরাঞ্চলে আরও ভাল ফল করত কংগ্রেস।’’