পুলিশের দাবি, অনলাইনে অ্যাসিড কিনেছিলেন হামলায় অভিযুক্তেরা। প্রতীকী ছবি।
দ্বারকার রাস্তায় অ্যাসিড হামলার ঘটনায় দিল্লির মুখ্যসচিব, পুলিশ কমিশনার এবং দিল্লি স্টেট লিগাল সার্ভিসেস অথরিটিকে নোটিস দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি)। সব পক্ষকেই ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই নোটিসের জবাব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন এনএইচআরসি কর্তৃপক্ষ। ওই নোটিসে তাঁদের মন্তব্য, দিল্লিতে অ্যাসিড বিক্রি নিয়ে নজরদারির অভাব রয়েছে।
শুক্রবারের স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ওই নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। ওই নোটিসে কমিশনের মন্তব্য, ‘‘এতে (হামলার ঘটনায়) স্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত যে বিভিন্ন ধরনের অ্যাসিড বিক্রি নিয়ে প্রশাসনের নজরদারির অভাব রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে অ্যাসিড বিক্রি রুখতে সরকারি কর্মচারীরা ব্যর্থ।’’
প্রসঙ্গত, ১৪ ডিসেম্বর, বুধবার সকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দ্বারকা মেট্রো স্টেশনের কাছের রাস্তায় ১৭ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে অ্যাসিড ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে দু’জন মোটরবাইকআরোহীর বিরুদ্ধে। এই হামলায় গুরুতর আহত ছাত্রী দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর মুখ এবং ঘাড়ের ৭-৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। এই হামলার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রাজধানীতে এই হামলার পর তোপের মুখে পড়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকার। দিল্লির মুখ্যসচিবকে এনএইচআরসি-র নির্দেশ, ওই ছাত্রীর ‘পুনর্বাসন, কাউন্সেলিং, ক্ষতিপূরণ এবং প্লাস্টিক সার্জারি-সহ চিকিৎসার যাবতীয় খরচ দিতে হবে।’ এ ছাড়া, এই হামলায় অ্যাসিড বিক্রির সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যও বিস্তারিত ভাবে চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।
পুলিশের দাবি, অনলাইনে ওই অ্যাসিড কিনেছিলেন অভিযুক্তেরা। পুলিশের কাছেও এই মামলার এফআইআরের কপি চেয়ে চেয়েছে কমিশন। সেই সঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি এবং এই হামলার পিছনে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ছিল কি না, রিপোর্টে তা-ও জানাতে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে। একটি বিবৃতিতে কমিশনের মন্তব্য, ‘‘ফৌজদারি আইনে নানাবিধ বদল আনা এবং বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও বাণিজ্যিক এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষার উদ্দেশ্য ছাড়া অ্যাসিড বিক্রি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি, যা অত্যন্ত অস্বস্তিকর। হামলাকারীরা সহজেই অনলাইন ও অফলাইনে অ্যাসি়ড সংগ্রহ করতে পারছেন, ফলে মনে হচ্ছে কিছুই বদলায়নি।’’