কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। ফাইল চিত্র।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনমত সমীক্ষা এবং বুথফেরত সমীক্ষা নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটছে না কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার লোকসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানিয়েছেন, এই ধরনের সমীক্ষা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও প্রস্তাব আসেনি।
লোকসভায় রিজিজুর উদ্দেশে এক সাংসদ প্রশ্ন করেন, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ার এবং নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচনী সমীক্ষা বন্ধ করার বিষয়ে সরকার কি কিছু ভাবনাচিন্তা করেছে? এই প্রশ্নের উত্তরেই রিজিজু বলেন, “নির্বাচনী সমীক্ষা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও প্রস্তাব আসেনি।” তবে একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভোটপ্রক্রিয়া শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে অন্তিম পর্বের নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী সমীক্ষায় যে বিধিনিষেধ বলবৎ ছিল, তা জারি থাকছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি হওয়া এই বিধি মেনেই আপাতত দেশের সাধারণ নির্বাচন এবং অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনগুলির সমীক্ষা করা যাবে।
নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরও এই ধরনের সমীক্ষাগুলি নিয়ে নির্বাচন কমিশন আগেই আপত্তি জানিয়েছিল। তাই এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কী অবস্থান নেয়, তা জানতে কৌতূহল ছিল অনেকেরই। এই সমীক্ষাগুলির মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ বারবার উঠেছে। তা ছাড়া, বহুক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে আসল ফলাফলের সঙ্গে সমীক্ষার ফলাফলের কোনও মিলই নেই। নির্বাচনী সমীক্ষায় ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন ধরনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, তা জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও।