পঞ্জাব ন্যাশনাল এবং আইসিআইসিআই-সহ বহু ব্যাঙ্কের কোটি কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছেন বলে মেহুল চোক্সীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। —ফাইল চিত্র।
পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোক্সীর বিরুদ্ধে নতুন করে আরও ৩টি মামলা রুজু করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, পঞ্জাব ন্যাশনাল এবং আইসিআইসিআই-সহ বহু ব্যাঙ্কের ৬,৭৪৬ কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন চোক্সী।
বুধবার প্রথম মামলায় সিবিআইয়ের দাবি, ২০১০-’১৮ সালের মধ্যে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে ২৮টি ব্যাঙ্কের একটি কনসর্টিয়ামের ৫,৫৬৪ কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন চোক্সীর সংস্থা গীতাঞ্জলি জেমস লিমিটে়ড এবং এর শীর্ষ এগ্জিকিউটিভেরা। অভিযোগ, ‘‘চোক্সী এবং অন্য অভিযুক্তেরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ সরানোর ব্যাপারে জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া, প্রকৃত বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিবর্তে তা ব্যবহার করেছেন। সেই সঙ্গে ঋণ নেওয়ার নির্দিষ্ট সীমাও পার করেছেন তাঁরা।’’
দ্বিতীয় মামলাটিও বুধবার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ওই একই সময়ের মধ্যে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি)-র নেতৃত্বে ৯টি ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়ামকেও ঠকিয়েছেন চোক্সী, তাঁর সংস্থা নক্ষত্র ব্র্যান্ডস লিমিটেড এবং অন্যান্যরা। ওই কনসর্টিয়াম থেকে ৮০৭ কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। অন্য দিকে, তৃতীয় মামলায় চোক্সী এবং তাঁর সংস্থা গিলি ইন্ডিয়া লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৩৭৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ করেছে সিবিআই। ওই একই সময় এই বিপুল অর্থ প্রতারণা করেন চোক্সীরা।
যদিও চোক্সীর আইনজীবী বিজয় আগরওয়ালের দাবি, ‘‘২০১৫ সালের ১৩ মে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এবং সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি)-এর সার্কুলার অনুযায়ী, একই গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কেবল মাত্র একটি মামলা রুজু করা যেতে পারে।’’
প্রসঙ্গত, ১৩,৫৭৮ কোটি টাকার পিএনবি দুর্নীতিকাণ্ডে চোক্সীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অন্তত ৭টি এফআইআর করেছে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এতে চোক্সীর সহযোগীরা এবং তাঁর সংস্থাগুলিও জড়িত বলেও দাবি। এ নিয়ে একাধিক চার্জশিটও পেশা করা হয়েছে। এই মামলায় চোক্সীর ভাইপো নীরব মোদীরও নাম রয়েছে। তবে গত বছরের মে মাসে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকে খোঁজ মিলেছিল তাঁর। অ্যান্টিগুয়ার নাগরিক চোক্সীকে দেশে প্রর্ত্যপণের চেষ্টা করলেও তাতে সফল হয়নি ভারত সরকার।