River

সরস্বতী নদীর দূষণে অর্থদণ্ড গঙ্গা-কর্তাকে

গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরস্বতী নদীর দূষণ নিয়ে সুভাষ দত্ত মামলা করার পরে ট্রাইবুনাল একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট জমা পড়েছিল। সেই রিপোর্টে সরস্বতী নদীর দূষণ নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু কারণের উল্লেখ করেছিলেন কমিটির সদস্যেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ০৯:২৩
Share:

ত্রিবেণীর কাছে গঙ্গা থেকে সরস্বতী নদী বেরিয়েছে এবং ৫৫ কিলোমিটার বয়ে গিয়ে সাঁকরাইলের কাছে তা ফের গঙ্গায় মিশেছে। ফাইল চিত্র।

সরস্বতী নদীর দূষণ নিয়ে ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা (এনএমসিজি)-র হলফনামা তলব করেছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চ। বারবার বলা সত্ত্বেও হলফনামা না-দেওয়ায় এনএমসিজি-র ডিরেক্টর জেনারেলকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি বি অমিত স্থালেকর এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য এ সেন্থিল বেলের ডিভিশন বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানিতে হলফনামা জমা না-দিলে এনএমসিজি-র বিরুদ্ধে একতরফা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ট্রাইবুনাল।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে ত্রিবেণীর কাছে গঙ্গা থেকে সরস্বতী নদী বেরিয়েছে এবং ৫৫ কিলোমিটার বয়ে গিয়ে সাঁকরাইলের কাছে তা ফের গঙ্গায় মিশেছে। কিন্তু দূষণের জেরে সরস্বতীকে বর্তমানে নদী বলে চেনাই দায়। সেই দূষণ নিয়েই ট্রাইবুনালে মামলা করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলাতেই এনএমসিজি-র হলফনামা তলব হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরস্বতী নদীর দূষণ নিয়ে সুভাষ দত্ত মামলা করার পরে ট্রাইবুনাল একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট জমা পড়েছিল। সেই রিপোর্টে সরস্বতী নদীর দূষণ নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু কারণের উল্লেখ করেছিলেন কমিটির সদস্যেরা। তাঁরা রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, সরস্বতীতে অবাধে প্লাস্টিক-সহ কঠিন বর্জ্য পড়ছে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার অশোধিত নিকাশি এবং বর্জ্য এসে নদীর জলে পড়ছে। নদীর উপরে কচুরিপানা জমে রয়েছে। রেলের একটি সেতুর স্তম্ভ নদীর বুকে রয়েছে। যার ফলে নদীর জলস্রোত বাধা পাচ্ছে। রিপোর্টে এ-ও উল্লেখ করা হয়েছে যে সরস্বতী যত দক্ষিণে এগিয়েছে ততই তাঁর অবস্থা করুণ হয়েছে। শুধু বর্জ্য নয়, একের পর এক সেতু, কালভার্টেও তার গতিধারা থমকে থমকে গিয়েছে। দূষণমুক্তির কয়েক দফা পরামর্শও দিয়েছে তারা। সুভাষ দত্ত জানান, ওই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সর্বশেষ শুনানিতে এই মামলায় রাজ্য পুর-নগরোন্নয়ন দফতর, পূর্ব রেল এবং কেএমডিএ-কেও যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement