নাসিরুদ্দিন শাহ।
প্রধানমন্ত্রী নিজে ছাত্র ছিলেন না বলেই বোধহয় ছাত্রসমাজের প্রতি ওঁর কোনও সহানুভূতি নেই, বললেন প্রবীণ অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। সোমবার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন তিনি।
বরাবরই নিজের মতামত জোরের সঙ্গে জানানোর জন্য পরিচিত নাসির এ দিন বলেন, তিনি নিজেকে কোনও দিনও মুসলিম ভাবেননি। আজও ভাবেন না। সচেতন নাগরিক হিসেবেই ক্রুদ্ধ বোধ করছেন। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, ‘‘জানি না আমার বার্থ সার্টিফিকেট আছে কি না। এত বছর এ দেশে কাজ করছি। পরিবারের বাকিরা কেউ পুলিশে, কেউ প্রশাসনে, কেউ সেনাবাহিনীতে কাজ করে এসেছে। আজ যদি ভারতীয়ত্বের প্রমাণ দিতে হয়, তাতে উদ্বেগ নয়, ক্রোধই জন্মায়। আমি উদ্বিগ্ন নই, আমি ক্রুদ্ধ।’’
প্রতিবাদ আন্দোলনের প্রসঙ্গ উঠলে নাসির যোগ করেন, বর্তমান সরকারের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল ছাত্রসমাজ এবং বিদ্বৎসমাজের প্রতি বিদ্বেষ। ‘‘তাঁরা নিজেরা কখনও ছাত্র ছিলেন না, বিদ্যাচর্চায় আগ্রহ দেখাননি কখনও, তার জন্যই হয়তো এই বিদ্বেষ। ছাত্ররা হল সেই গোষ্ঠী, যারা চিন্তা করে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে। বড় হলে তাদের জন্য কী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, এটা তাদের ভাবতে হয়। প্রধানমন্ত্রী সেই গোষ্ঠীর অংশ ছিলেন না তাই তাদের প্রতি ওঁর সহানুভূতিও নেই। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ডিগ্রির কথা সামনে আসার আগে উনি নিজে কিন্তু বলতেন আমি পড়াশোনাই করিনি।’’
আরও পড়ুন: নড্ডাকে হেঁচকা টানে আসনে বসালেন অমিত
সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে দেশ জুড়ে যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদের ঢল নেমেছে— সেটা খুবই আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছেন নাসির। বলিউডেও, তিনি লক্ষ করেছেন, নবীন ব্রিগেডই অনেক বেশি করে নিজের মতামত জানাচ্ছে।