হীরাবেন মোদীর মৃত্যুসংবাদে ভেঙে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী যশোদা বেন। —ফাইল চিত্র।
নিজের মাকে হারিয়েছেন ছোটবেলায়। শাশুড়িকেই নিজের মা জ্ঞানে দেখতেন। সেই হীরা বেন মারা গিয়েছেন শুক্রবার ভোরে। যে মৃত্যুসংবাদে ভেঙে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী যশোদা বেন। শুক্রবার বিকেলে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলতে বলতেও কেঁদে ফেললেন একাধিক বার। বললেন, ‘‘ওঁকে মায়ের মতোই দেখতাম। আরও এক বার মাতৃহারা হলাম। খুব কষ্ট হচ্ছে।’’
যশোদার দাবি, বছর পনেরো আগে তাঁর সঙ্গে শেষ বার সামনাসামনি দেখা হয়েছিল সদ্যপ্রয়াত হীরা বেনের। কী কথা হয়েছিল? যশোদার কথায়, ‘‘মা আমাকে বলেছিলেন, তুমি তোমার কেরিয়ারে এগিয়ে যাও। আমি তোমার পাশে সব সময় আছি।’’ যশোদার দাবি, হীরা বেন তাঁর পাশে ছিলেনও। তখন গুজরাতের মেহসানা জেলার একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন যশোদা। সেই চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন বেশ কয়েক বছর হল। বর্তমানে তিনি দাদা অশোক মোদীর উঞ্ঝার বাড়িতে থাকেন।
শুক্রবার সকালেই যশোদা খবর পেয়েছেন শতায়ু হীরা বেন আর নেই। অশোকের পুত্র রাকেশ মোদীর কথায়, ‘‘খবর পাওয়ার পর থেকে পিসি কেঁদেই চলেছে। শরীরটা খুব একটা ভাল নেই। তাই হীরা বেনকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতেও যেতে পারেনি।’’
যশোদার নিজের মা যখন মারা গিয়েছেন, তখন তিনি অনেক ছোট। সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমার মায়ের কথা আবছা মনে আছে। কত দিন হয়ে গেল মা নেই! বিয়ের পর থেকে এই মাকেই সেই আসনে বসিয়ে রেখেছিলাম। আজ সেই ভরসার জায়গাটাও হারিয়ে ফেললাম।’’ বলতে বলতেই কেঁদে ফেললেন যশোদা। ভিডিয়ো কলে স্পষ্ট দেখা গেল, আঁচলে চোখের জল মুছে তিনি বললেন, ‘‘কথা বলতে পারছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে। আবারও মাতৃহারা হয়ে পড়লাম!’’
শুক্রবার ভোরে মারা গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন। গুজরাতের আমদাবাদে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে দুপুরে। সকালে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মসূচিতে আসার কথা ছিল মোদীর। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর কলকাতায় আসার কর্মসূচি বাতিল করে আমদাবাদে যান মোদী। কলকাতার কর্মসূচিতে ‘ভার্চুয়ালি’ অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বলেন, ‘‘কলকাতায় আসার খুবই ইচ্ছা ছিল। কিন্তু একটি ব্যক্তিগত কারণে সেটা হয়ে উঠল না।’’