ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম-এর সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন নরেন্দ্র মোদী। পিটিআই
ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য গোটা বিশ্বের সমস্ত দেশকে একসঙ্গে, তালে তাল মিলিয়ে পদক্ষেপ করতে হবে বলে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি কোভিড-উত্তর বিশ্বে নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার জন্য তৈরি কি না, তা নিয়ে আজ ফের প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাঙ্ক (ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক)-এর মতো সংস্থার সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।
আজ ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম-এর সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী যুক্তি দিয়েছেন, বিশ্ব পরিস্থিতির পরবর্তনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জও বাড়ছে। তার মোকাবিলা করার জন্য প্রতিটি দেশকে, সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থাকে এককাট্টা হয়ে, এক সুরে পদক্ষেপ করতে হবে। কোভিডের সময় পণ্য সরবরাহে বাধা, বর্তমানে চড়া মূল্যবৃদ্ধির হার, জলবায়ুর পরিবর্তনকে এই সব চ্যালেঞ্জের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন মোদী। একই সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সিরও উদাহরণ দেন।
মোদী সরকার এখনও ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আইনের রূপরেখা চূড়ান্ত করতে পারেনি। কতখানি ছাড় দেওয়া হবে, কী ধরনের নিয়ন্ত্রণ থাকবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত, মাদক চোরাচালানের আর্থিক লেনদেনের আশঙ্কা করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, “ক্রিপ্টোকারেন্সিতে যে ধরনের প্রযুক্তি জড়িত, তাতে কোনও একটি দেশের সিদ্ধান্ত এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়। সবাইকে একমত হতে হবে।” আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি এই সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় তৈরি কি না, সেই প্রশ্ন তুলে মোদী বলেন, “যখন এই সব সংস্থা তৈরি হয়েছিল, তখন পরিস্থিতি এক রকম ছিল। আজ পরিস্থিতি অন্য রকম। তাই গণতান্ত্রিক দেশগুলির দায়িত্ব হল সংস্থাগুলির সংস্কার।
আজ ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা, শিল্পমহলের সামনে কোভিডের সময়ে দেশে কী কী সংস্কার হয়েছে, তার উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনই ভারতে লগ্নির শ্রেষ্ঠ সময়। ১৪টি ক্ষেত্রে উৎপাদন ও লগ্নি বাড়াতে ২৬০০ কোটি ডলারের উৎসাহ ভাতা প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। অতিমারির সময়ে ভারত গোটা বিশ্বে ওষুধ ও টিকা জোগান দিয়েছে। ভারত
এখন ওষুধ ক্ষেত্রে তৃতীয় বৃহত্তম উৎপাদক দেশ।
এ দিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতার মাঝপথে অল্প ক্ষণের জন্য থমকে যান মোদী। জানতে চান, তাঁর কথা সকলে শুনতে পাচ্ছেন কি না। কংগ্রেসের বক্তব্য, আসলে ‘টেলিপ্রম্পটার’ থেমে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর।