নানা পাটোলে
কৃষকদের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে শুক্রবারই সাংসদ পদ এবং বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নানা পাটোলে। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সরব হলেন মহারাষ্ট্রের এই নেতা। পাটোলের অভিযোগ, মোদী অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত (ওবিসি)। কিন্তু তিনি সেই পরিচয়কে ব্যবহার করে কেবল রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছেন।
কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলায় কেন্দ্র এবং মহারাষ্ট্র সরকার যে পন্থা নিয়েছে, তা নিয়ে বহু দিন ধরেই সরব ছিলেন পাটোলে। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে পাটোলে বলেন, ‘‘ওবিসি এবং কৃষকদের জন্য কিছুই করেননি মোদী। আর এখন রাজনৈতিক ফায়দার জন্য নিজের ওবিসি পরিচিতি ব্যবহার করছেন।’’ মণিশঙ্কর আইয়ারের ‘নীচ’ মন্তব্যের জবাবে মোদী বলেছেন, ‘‘আমি গুজরাতি, নিচু জাতের বলেই আমার প্রতি এত ঘৃণা।’’
এ দিন সেই প্রসঙ্গ তুলে পাটোলে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর এই দ্বিচারিতা দেখে আমি ক্ষুব্ধ।’’ মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা-গোন্ডিয়া কেন্দ্র থেকে জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন পাটোলে। এ দিন তিনি দাবি করেন, গত বছর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হওয়া এক বৈঠকে ওবিসিদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে মোদীর কাছে তাঁদের জন্য একটি আলাদা মন্ত্রক গড়ার দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু মোদী চিৎকার করে জানান, তার প্রয়োজন নেই। ‘‘আর এখন প্রধানমন্ত্রী নিজের ওবিসি পরিচিতি ভাঙিয়ে ভোট চাইছেন,’’ কটাক্ষ পাটোলের। পাটোলের আরও দাবি, কৃষকদের জন্য কেন্দ্রের কাছে আরও আর্থিক সহায়তা চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও রেগে যান মোদী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কৃষকদের সমস্যা নিয়ে মোটেই চিন্তিত নয় সরকার। এ নিয়ে দেশকে প্রতারণা করছেন মোদী।’’ মোদীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনেও কেন্দ্র এবং মহারাষ্ট্র সরকার ব্যর্থ বলে দাবি পাটোলের।
পাটোলে এ দিন জানিয়েছেন, আগামী সোমবার অমদাবাদে গিয়ে মোদীর এই ‘দ্বিচারিতা’ তুলে ধরবেন তিনি। ১৫-১৬ ডিসেম্বর নিজের সংসদীয় কেন্দ্র ভান্ডারা-গোন্ডিয়ায় যাবেন তিনি। তার পরে যাবেন গঢ়চিরৌলি এবং চন্দ্রপুরে। এ দিন কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে পাটোলে জানিয়েছেন, এখনও কোনও দলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।