প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
অতিমারি ও কেন্দ্রের ‘পরিকল্পনাহীন’ লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে বলে গোড়া থেকেই সরব বিরোধীরা। মোদী সরকারের তিন নতুন কৃষি-আইনের বিরোধিতায় আজও দিল্লির উপকণ্ঠে ধর্নায় চাষিরা। উত্তরপ্রদেশ-সহ এক গুচ্ছ রাজ্যে ভোটের আগে সেই ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দিতে এ বার ডিজিটাল ভারত প্রকল্পের ছ’বছর পূর্তির মঞ্চকেও ব্যবহার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বার্তা দিলেন, কোভিড এবং তার জেরে ধাক্কা খাওয়া অর্থনীতিতে বিধ্বস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশেই রয়েছে তাঁর সরকার। ‘প্রমাণ’ হিসেবে তুলে ধরলেন এক দেশ-এক রেশন কার্ডের উদ্যোগকে। শুধু তা-ই নয়, এই ডিজিটাল প্রযুক্তির দৌলতেই সরাসরি চাষিদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ডিজিটাল মিশনের দৌলতেই এক দেশ-এক রেশন কার্ড প্রকল্প বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছে। এতে বিশেষত পরিযায়ী শ্রমিকেরা উপকৃত হবেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এক দেশ-এক রেশন কার্ড প্রকল্প পুরোদস্তুর চালু করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রীর আরও দাবি, ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনই কৃষকদের সরাসরি বাজারে পণ্য বিক্রিতে সাহায্য করেছে। এই দশক (ডিকেড) কতখানি প্রযুক্তি-নির্ভর (টেকনোলজি) হবে তা বোঝাতে গিয়ে দুই মিলিয়ে একে ‘টিকেড’ বলেছেন মোদী। পরে যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা।
বিরোধী নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বহু বার বলা সত্ত্বেও এই কঠিন পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে টিকে থাকার নগদটুকুও মোদী সরকার দেয়নি। আর এ দিনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী অল্পবয়সিদের কথা বললেও দু’দিন আগে পর্যন্ত তাঁদের টিকার খরচ বইতেই টালবাহানা করেছে কেন্দ্র!