বিদেশ যাবেন নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং রণনীতি —এই তিন লক্ষ্য সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীর্ঘ দিন পর বিদেশের পথে। আগামী ১৯ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত চলবে তাঁর ত্রিদেশীয় সফর। প্রথমে যাবেন জাপানের হিরোশিমায়, জি ৭ গোষ্ঠীভুক্ত সম্মেলনের আমন্ত্রিত দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তার পরে পাপুয়া নিউগিনিতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্রগুলির সহযোগিতা সম্মেলন সেরে তিনি যাবেন অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে, কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিতে।
অনেক দেশ, বিভিন্ন বহুপাক্ষিক বৈঠক, কর্মসূচি ভিন্ন। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, তবুও তার মধ্যে চিনের মোকাবিলা করা অন্যতম প্রধান দিক হতে চলেছে ভারতের। পাশাপাশি, বিনিয়োগ টানার উদ্দেশ্যও যে রয়েছে তা আজ সকালে রোজগার মেলার বক্তৃতায় স্পষ্ট করেছেন মোদী। বলেছেন, “আগামী সপ্তাহে আমার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের অনেক সংস্থার সিইও-দের বৈঠক হবে। তাঁরা ভারতে বিনিয়োগ করতে খুবই উৎসাহী।”
জি ৭-এর বৈঠকে শান্তির বার্তা দিতে চলেছেন মোদী। কারণ, সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে স্পষ্টতই তীব্র মেরুকরণ তৈরি হবে। সে ক্ষেত্রে ভারতের কাছে রাশিয়া এবং আমেরিকা, দু’তরফেরই চাহিদা থাকবে তাদের কোলে ঝোল টেনে পদক্ষেপ করার। সে ক্ষেত্রে সংলাপ এবং আলোচনাই এমন একটি পরিসর যেখানে ভারসাম্য বজায় রেখেচলা সম্ভব এবং ইউক্রেন প্রশ্নে যাগত দেড় বছর ধরে করে চলেছেমোদী সরকার।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, মোদীর পাপুয়া নিউগিনির বৈঠকটিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। কূটনীতির পরিভাষায় এই দ্বীপরাষ্ট্রকে ‘চিনের খিড়কি দুয়ার’ বলা হয়ে থাকে। নিজেদের বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত প্রভাব প্রশান্ত মহাসাগরে স্থায়ী করার জন্য এখানকার বিভিন্ন দ্বীপরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে বেজিং। ভারত চাইছে, এখানে তাদের ছাপ পোক্ত করতে। প্রসঙ্গত, এখানকার ১৪টি দ্বীপ, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ভারতের পরিকাঠামো সংক্রান্ত মডেলকে অনুসরণ করতে চায়। পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে ভারতের কিছু চুক্তিপত্রও সই হওয়ার কথা।