গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর একই ধরনের একটি আন্তর্জাতিক ভিডিয়ো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল কোভিড নিয়ে। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব অর্থনীতিতে থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। অতিমারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং একটি বিশ্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলার এই শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য।
ফাইল চিত্র।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সংস্কারের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডাকা কোভিড নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে (ভিডিয়ো মাধ্যমে) বক্তৃতায় মোদী বলেছেন, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বুনিয়াদ পোক্ত করতে হু-এর সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। তাঁর কথায়, “ভারতে আমরা অতিমারির মোকাবিলায় জনকেন্দ্রিক কৌশল তৈরি করেছি।”
আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর ঘোষণা, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ কোভিড টিকা পেয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমাদের টিকাকরণ কর্মসূচি বিশ্বের বৃহত্তম। ভারত চারটি ‘হু’ অনুমোদিত প্রতিষেধক তৈরি করেছে।
বছরে পাঁচ বিলিয়ন ডোজ় তৈরির ক্ষমতা রয়েছে আমাদের।” তাঁর সরকারের ‘প্রতিষেধক কূটনীতির’ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা দ্বিপাক্ষিক ভাবে এবং কোভ্যাক্স ব্যবস্থার মাধ্যমে ৯৮টি দেশকে ২০০ মিলিয়ন ডোজ় সরবরাহ করেছি। ভারতে কম মূল্যে টেস্ট এবং চিকিৎসা করানোর প্রযুক্তি রয়েছে। অন্য দেশগুলিকেও আমার এই প্রযুক্তি পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছি। এই ভাইরাস সম্পর্কে তথ্যপঞ্জি তৈরিতেও ভারত অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিতেও আমরা আমাদের এই নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছি।”
হু-এর সংস্কার প্রসঙ্গে মোদীর বক্তব্য, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আইন কানুনগুলিকে আরও সহজ করার প্রয়োজন। আমাদের অবশ্যই সহজলভ্য সাপ্লাই চেন তৈরি করতে হবে যাতে বিশ্বের সর্বত্র সমান ভাবে প্রতিষেধক এবং ওষুধ পৌঁছয়। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হু-এর সার্বিক সংস্কার।” প্রসঙ্গত অতিমারির পর থেকেই গত দু বছর ধরে মোদী ধারাবাহিক ভাবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বহুপাক্ষিক সংস্থার সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করছেন। তাঁর বক্তব্য, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংস্থাগুলি নিজেদের বদলায়নি। ফলে আপতকালীন পরিস্থিতিতে পুরনো বাস্তবতা অনুযায়ী নড়চড়ে বসতে সময় নিচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের ঐতিহ্যবাহী ওষুধকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে গত মাসেই আমরা হু-র কেন্দ্র স্থাপন করেছি। স্থিতিস্থাপক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কৌশল তৈরি করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অবশ্যই আরও শক্তিশালী করতে হবে। এই প্রচেষ্টায় মুখ্য ভূমিকা নিতে প্রস্তুত ভারত”।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর একই ধরনের একটি আন্তর্জাতিক ভিডিয়ো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল কোভিড নিয়ে। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব অর্থনীতিতে থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। অতিমারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং একটি বিশ্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলার এই শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য।