ভিডিয়ো গেমসের আলোচনায় খুবই উৎসাহ, কিন্তু চাকরির প্রশ্নে তিনি নীরব! কর্মসংস্থান নিয়ে এত দিন বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি। আজ পড়ুয়াদের সঙ্গে আড্ডাতেও চাকরির প্রসঙ্গ সযত্নে এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে।
গত বারের মতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দু’হাজার ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে আজ দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় ছিলেন মোদী। শুরুতেই ছেলের অনলাইন গেমে আসক্তি নিয়ে অভিযোগ জানান দিল্লির বাসিন্দা মধুমিতা সেনগুপ্ত। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র। দিনভর অনলাইন গেমে ডুবে থাকে। প্রতিকার চাই।’’
জবাবে দু’সেকেন্ড চুপ করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর বলেন, ‘‘পাবজিওয়ালা (প্লেয়ার আননোনস ব্যাটলগ্রাউন্ড বা পিইউবিজি) হ্যায় ক্যয়া?’’ ফের দু’সেকেন্ড চুপ করে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘‘না কি ফ্রন্টলাইন?’’ এই মুহূর্তে দেশের তরুণ-যুব সমাজের কাছে সব থেকে জনপ্রিয় অনলাইন খেলা ‘পিইউবিজি’ এবং ‘ফ্রন্টলাইন’। দু’টিই শত্রুকে খুঁজে বার করে হত্যা হত্যা বা যুদ্ধ সংক্রান্ত। ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাতে ওই খেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে মোদী বলেন, ‘‘প্রযুক্তি যেমন সমস্যা, তেমনই সমাধানের রাস্তাও। তাই বাবা-মাকে প্রযুক্তি, মোবাইল অ্যাপ নিয়ে বন্ধুর মতো কথা বলতে হবে।’’
আরও পড়ুন: লোকসভার ফলের দিনই রাজ্যে সরকার পড়বে: অমিত শাহ
এর পর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ কোর্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী শাম্ভ্যবী শুক্লা জানতে চান, ‘‘ভাল চাকরি পেতে বা কেরিয়ার গড়তে কী ভাবে এগোনো যায়?’’ অনেকটা একই ধাঁচের প্রশ্ন ছিল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মহম্মদ সেলিমের। দু’টি প্রশ্নেরই জবাব এড়িয়ে তৃতীয় এক ছাত্রীর বিষয় নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেন মোদী। সব মিলিয়ে দেড় ঘণ্টার আলোচনায় চাকরি নিয়ে কোনও দিশা দেখাননি প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, দশম-দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার পরেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। পরীক্ষা খোদ প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু স্বপ্নপূরণে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরই মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। আজ পরীক্ষার্থীদের মঞ্চে ভোট-পরীক্ষার্থী মোদী বলেন, ‘‘সামর্থ্য অনুযায়ী স্থির করতে হবে লক্ষ্য। স্বপ্ন পূরণ না হলে আত্মসমীক্ষা করতে হবে।’’ যা শুনে কংগ্রেসের এক নেতার কটাক্ষ, ‘‘লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে পৌঁছননি বুঝে আত্মপক্ষ সমর্থনে নেমেছেন মোদী। পরীক্ষায় দেশবাসী তাঁকে গোল্লা দেবেন।’’