মোদীর শান্তি বার্তা, তবে দল মেরুকরণেই

দেশের ছাত্রসমাজের একাংশ নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পথে নামলেও, বিজেপি শিবিরের দাবি, দেশের স্বার্থে এই আইন রূপায়ণে সরকার বদ্ধপরিকর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:২৩
Share:

ছবি: পিটিআই।

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পথে নেমেছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তবু হিন্দুত্বের রাস্তা থেকে সরছেন না নরেন্দ্র মোদীরা। দল জানিয়ে দিয়েছে, নাগরিকত্ব আইন সংশোধন দীর্ঘ সময়ের দাবি ছিল। তার সুফল বোঝাতে পথে নামবে দল। এ দিকে আজ দেশে শান্তি ফেরাতে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক প্রতিবাদ দুভার্গ্যজনক, পীড়াদায়ক। বিতর্ক, আলোচনা ও ভিন্নমত পোষণ করা গণতন্ত্রের অঙ্গ। কিন্তু সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও জনজীবন বিপর্যস্ত করা দেশের সংস্কৃতির অঙ্গ নয়। বিরোধীদের মতে, এনআরসি থেকে নাগরিকত্ব আইন– এগুলি সবই সরকারের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরানোর কৌশল।

Advertisement

দেশের ছাত্রসমাজের একাংশ নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পথে নামলেও, বিজেপি শিবিরের দাবি, দেশের স্বার্থে এই আইন রূপায়ণে সরকার বদ্ধপরিকর। ঘরোয়া মহলে বিজেপি নেতারা বলছেন, কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহার, তিন তালাক, রাম মন্দিরের পরে অ-মুসলিম বিদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া— নির্দিষ্ট নীতি মেনেই এগোচ্ছে তারা। যার চূড়ান্ত লক্ষ্য হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার স্বপ্নকে সামনে রেখে ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে যাওয়া। বিজেপি নেতারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু শরণার্থী ভোটও তাদের নিশানা।

গত কালকের প্রতিবাদের প্রেক্ষাপটে আজ শান্তির বার্তা দিতে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিক টুইটে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয়দের ওই আইন নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। যারা অন্য দেশে দীর্ঘ দিন ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছেন, ভারত ছাড়া যাদের যাওয়ার জায়গা ছিল না, ওই আইন কেবল তাদের জন্য।’’ প্রধানমন্ত্রী নিজের বার্তায় শান্তি, ঐক্য ও সৌভ্রাতৃত্বের কথা বললেও, বিভাজনের রাজনীতিতে দলের ফায়দা হবে বলেই মনে করছে বিজেপি। ধর্মীয় মেরুকরুণ উস্কে দিতে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ঝাড়খণ্ডে বলেন, ‘‘আগামী চার মাসের মধ্যে অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ে ফেলা হবে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: মোদীর ‘পোশাক’ মন্তব্যেই কি বেড়েছে পুলিশের সাহস?

বিরোধীদের পাল্টা যুক্তি হল, সরকার পরিকল্পিত ভাবে এই অস্থিরতা তৈরি করছে। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর মতে, ‘‘সরকারের কাজ হল শান্তি সৌহার্দ্যের পরিবেশ তৈরি করা। উল্টে মোদী সরকার ধার্মিক উন্মাদনা ও হিংসা ছড়াচ্ছে। বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি করে নিজের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা সরকারের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement