—ফাইল চিত্র।
তিনশো পেরিয়ে লোকসভায় দাপট থাকলেও বিজেপি এখনও রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু। সংসদের উচ্চকক্ষে আজ প্রায় হুমকির সুরেই প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের শুনিয়ে এলেন, লোকসভার জনমতকে স্বীকার করেই চলতে হবে রাজ্যসভাকে ।
গত পাঁচ বছরে রাজ্যসভায় অনেক বিলই আটকে দিয়েছে বিরোধীরা। নরেন্দ্র মোদীর হুঁশিয়ারি, ‘‘গত পাঁচ বছরে যে যে দল রাজ্যসভাতেও বিল আটকানোর চেষ্টা করেছে, তাদের সাজা দিয়েছে জনতা। মানুষ প্রত্যাশা পূরণের জন্য লোকসভায় জনমত দিয়েছে, রাজ্যসভায় তাতে বাধা দিলে মানুষ সে দিকে নজরে রাখছে। এখনও সুযোগ আছে শিক্ষা নেওয়ার।’’
আজও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘‘আমার কথা যদি না-শোনেন, অন্তত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির কথা শুনুন। প্রণবদা বলেছিলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠরা শাসন করেন, সংখ্যালঘুরা বিরোধ। কিন্তু বাধা তৈরির জনাদেশ কেউই পায়নি।’’ মোদীর অভিযোগ, আজ তিনি বিদেশে চলে যাবেন বলে রাজ্যসভায় বলার জন্য বিরোধীদের হাত-পা ধরতে হয়েছে। এত অহঙ্কার! চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর উদ্দেশে বলেন, ‘‘পাঁচ বছর সহ্য করেছি। দেশের ক্ষতি হয়েছে, কষ্ট হয়েছে। মানুষের কাজ আটকানোর চেষ্টা হয়েছে। আপনার হস্তক্ষেপ দরকার।’’
এতে কংগ্রেসের আনন্দ শর্মারা বলেন, ‘‘আদৌ আপনার বলা আটকানোর চেষ্টা হয়নি।’’ পরে সাংবাদিক বৈঠকেও শর্মা বলেন, ‘‘এক সাংসদের মৃত্যুর পরেও সভা পুরো মুলতুবি না-রেখে কাজ হয়েছে শুধু প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের কথা ভেবে। রাজ্যসভা শুধু রাবার-স্ট্যাম্পের কাজ করতে পারে না।’’ মোদীর যুক্তি, রাজ্যসভায় বিরোধের জেরে অনেক বিলের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। সেগুলি আবার লোকসভায় নিয়ে আসতে হবে। এতে করদাতাদের অর্থেরই অপচয় হয়।
বিজেপি জানে, রাজ্যসভার কাঁটা দূর হবে না কয়েক বছরে। তাই সাংসদ ভাঙিয়ে আনছে তারা। টিডিপির পরে আজ রাজ্যসভায় আইএনএলডির একমাত্র সাংসদ রামকুমার কাশ্যপকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো হয়।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।