নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
প্রথম দিন লোকসভায় ঢুকেছিলেন ‘মোদী, মোদী’ জয়ধ্বনির মধ্যে দিয়ে। বিরোধীদের নালিশ, তার পরে ১৫ দিন আর লোকসভায় তাঁর দেখা মেলেনি। বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে ফের লোকসভায় উপস্থিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কংগ্রেসের দুই সাংসদ মানিকম টেগোর ও পি কে প্রতাপন সংসদের লবিতেই হাতে বোর্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। তাতে লেখা, ১৭ দিনের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত মাত্র দু’দিন। ১৪ মার্চ ও ৭ এপ্রিল বাদে প্রধানমন্ত্রী বাকি সব দিনই ‘অ্যাবসেন্ট’।
উত্তরপ্রদেশ-সহ চার রাজ্যে ভোটে বিজেপির জয়ের পরে সংসদের অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন নরেন্দ্র মোদী লোকসভায় ঢুকতেই ‘মোদী, মোদী’ জয়ধ্বনি দিতে শুরু করেছিলেন বিজেপি সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রী নিজের আসনে বসার পরেও সেই জয়ধ্বনি চলেছিল। তৃণমূলের এক সাংসদ পরে লোকসভায় দাঁড়িয়েই কটাক্ষ করে বলেছিলেন, যেন রোমের কলোসিয়ামে গ্ল্যাডিয়েটর ঢুকলেন!
প্রথম দিন অভিবাদন গ্রহণের পরে সংসদে গেলেও প্রধানমন্ত্রী আর লোকসভায় যাননি। প্রধানমন্ত্রীকে লোকসভায় দেখা যায় না— এই অভিযোগ আগেও উঠেছে। সংসদের চলতি অধিবেশনে বিরোধীরা নতুন অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যসভার নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়ালকেও রাজ্যসভায় দেখা যাচ্ছে না। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক জয়রাম রমেশ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তো গরহাজির থাকেনই। আগে অন্তত দেখতাম, অরুণ জেটলি, থওয়র চাঁদ গহলৌত রাজ্যসভার নেতা থাকাকালীন অধিবেশনে বসে থাকতেন। এখন রাজ্যসভার নেতাও নিরুদ্দেশ।’’ বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের দফতর সূত্রের বক্তব্য, মন্ত্রী সংসদের অধিবেশনের মধ্যেই দুবাই, অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন। তাই তিনি রাজ্যসভায় বেশি থাকতে পারেননি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতির কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি।
তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের কটাক্ষ, “আগে তো সংসদের অধিবেশনের সময়েই প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে চলে যেতেন। কোভিডের পর থেকে সেটা বন্ধ। প্রধানমন্ত্রীকে তা-ও লোকসভায় দেখা যায়। রাজ্যসভায় তিনি একেবারেই আসেন না। উনি কি রাজ্যসভাকে পরলোক সভা বলে মনে করেন?”
অধিবেশনের শেষে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী প্রথামাফিক লোকসভার স্পিকারের ঘরে সনিয়া গান্ধী, অধীর চৌধুরী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেছেন।