যোগী আদিত্যনাথের পিঠ চাপড়ে দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশের খারাপ ফলেই আটকে গিয়েছে বিজেপির জয়রথের চাকা। ছোঁয়া যায়নি সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক সংখ্যা। দলের একাংশের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ ছাড়াও আঙুল উঠেছে ভোটপ্রচারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গা-ছাড়া মনোভাব নিয়েও। এই আবহে আজ সংসদের সেন্ট্রাল হলে এনডিএ বৈঠকে প্রথম দেখা হল নরেন্দ্র মোদী ও যোগী আদিত্যনাথের। সেখানে যোগীর পিঠ চাপড়ে দিতে দেখা যায় মোদীকে। বিজেপির দাবি, দুই শিবিরের মধ্যে তিক্ততার যে চর্চা হচ্ছিল, তা ওই পিঠচাপড়ানিতেই নাকি মুছে গিয়েছে।
সংসদের সেন্ট্রাল হলে প্রায় সওয়া ঘণ্টার বক্তব্য শেষ হওয়ার পরেই সাঙ্গ হয় এনডিএ-র বৈঠক। একে একে বিজেপি সাংসদ এবং এনডিএর শরিক দলের নেতারা ফুলের স্তবক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে এগিয়ে আসেন। সেন্ট্রাল হলে আসনের প্রথম সারিতেই অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বসে ছিলেন যোগী। অন্যদের মতো তিনিও এগিয়ে আসতে থাকেন মোদীর দিকে। সাংবাদিকেরা তো বটেই, উপস্থিত সাংসদদের একাংশও তখন অপেক্ষায়— কী হয়, কী হয় ভেবে! প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে পুষ্পস্তবক দেন যোগী। তারপরেই আদিত্যনাথের পিঠ দু’বার চাপড়ে দিতে দেখা যায় মোদীকে। দু’জনেই হাসেন। এরপর মোদীকে নমস্কার জানিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান যোগী।
গতকাল রাজ্যের আমলাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে আগামি কাল সমস্ত মন্ত্রীদের লখনউয়ে বৈঠকে ডেকেছেন যোগী। পরিসংখ্যান বলছে, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ‘ইন্ডিয়া’ ওই রাজ্যে ২১৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল। সেখানে বিজেপি তথা এনডিএ জোট এগিয়ে ছিল ১৮১টি বিধানসভা কেন্দ্রে। পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল নির্দলেরা। দু’বছর আগে ক্ষমতায় আসা বিজেপির কেন এত খারাপ ফল হল, তা বিশ্লেষণ করতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এ দিকে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীশ। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে দলের খারাপ ফলের দায় নিয়ে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে এখনইইস্তফা না দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই রাজ্যে শাসক দল একনাথ শিন্দের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার বেশ কিছু নেতা ফের উদ্ধব শিবিরে ফেরার চেষ্টা শুরু করেছেন। এনসিপি অজিত পওয়ারের দলেও ভাঙনের পরিস্থিতিতৈরি হয়েছে।