হোয়াটস্অ্যাপ চ্য়ানেলে মোদী। — ফাইল চিত্র।
সমাজমাধ্যম ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর দল বিজেপি যে পটু তা সকলেরই জানা। এ বার লোকসভা নির্বাচনের আগে আগে মোদী যোগ দিয়েছেন হোয়াটস্অ্যাপ চ্যানেলে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার গণেশ চতুর্থীর দিনে শুরু হয়েছে মোদীর এই নতুন যাত্রা।
২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করে বেশি প্রচার চালিয়েছে বিজেপি। এ বার লোকসভা নির্বাচনের আগে সেটা আরও বাড়ানোই পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের। ফেসবুক বা এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডলের মাধ্যমে প্রতিদিনই নানা বার্তা দিয়ে থাকেন মোদী। কিন্তু এটা সকলেরই জানা, এই সবের তুলনায় সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন হোয়াটস্অ্যাপ। এ বার আর সার্চ করতে হবে না, হোয়াটস্অ্যাপ চ্যানেলে মোদী কিছু পোস্ট করলেই তার নোটিফিকেশন চলে আসবে।
বরাবরই জনসংযোগের নতুন নতুন পথে হাঁটতে পছন্দ করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে নিজের ওয়েবসাইট তো বটেই ‘নমো’ নামে একটি অ্যাপও আনেন তিনি। বিজেপি সেই অ্যাপকে জনপ্রিয় করতে দল উদ্যোগী হয়েছে। এ বার হোয়াটস্অ্যাপ চ্যানেলকে সাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী তারা। বাংলাতেও বিজেপি সাধারণ মানুষের মোবাইলে মোদীর হোয়াটস্অ্যাপ চ্যানেলে যুক্ত হওয়ার জন্য বার্তা পাঠাতে শুরু করে দিয়েছে। দলীয় কর্মী, সমর্থকদের মোবাইলে চালু হয়ে যাওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মোবাইল নম্বরেও এই বার্তা পাঠাবে। বিজেপির আশা অনেক মানুষই এতে সাড়া দেবেন। এর পরে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদীর বার্তা সরাসরি পৌঁছে যাবে সাধারণ ভোটারের মোবাইল ফোনে।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল হল মেটার জনপ্রিয় একমুখী ব্রডকাস্ট চ্যানেল। যে চ্যানেলে একসঙ্গে বহু সাবস্ক্রাইবারকে বার্তা পাঠানো যায়। তবে এটি একমুখী। কেউ চাইলেই মোদীকে কিছু লিখতে পারবেন না। এমনকি, মোবাইল নম্বরও দেখতে পাবেন না। আবার এই চ্যানেল যাঁরা পরিচালনা করবেন তাঁদের মোবাইলে সেভ করা না থাকলে বাকিদের নম্বরও দেখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পেয়ে তার প্রতিক্রিয়ায় কোনও কিছু লেখা না গেলেও নির্দিষ্ট কিছু ‘ইমোজি’ পাঠিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো যাবে। সেটা অবশ্য চ্যানেল পরিচালকরা দেখতে পাবেন।
আবার কেউ চাইলেই এই চ্যানেলের সদস্য হতে পারবেন না। তার জন্য চ্যানেলের তরফে আমন্ত্রণ (ইনভাইটেশন) পেতে হবে। এই আমন্ত্রণ পাঠানোর কাজটাই সংগঠিত ভাবে করবে বিজেপি। যেটা এই রাজ্যেও শুরু হয়ে গিয়েছে। আমন্ত্রণ পাওয়ার পরে কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে সদস্য হওয়া যাবে। আবার কোনও গ্রাহক যদি চ্যানেল থেকে বের হয়ে যেতে চান সেটাও সম্ভব।
ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে সম্প্রতি এই সুবিধা এনেছে হোয়াটস্অ্যাপ পরিচালক সংস্থা মেটা। বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা এই সুবিধা ব্যবহার ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে অনেক অভিনেতা, অভিনেত্রী হোয়াটস্অ্যাপ চ্যানেলে যোগ দিয়েছেন ভক্তদের নিয়মিত নিজের সম্পর্কিত খবরাখবর দেওয়ার জন্য। ভারতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষেও একটি হোয়াটস্অ্যাপ চ্যানেল চালু হয়েছে। এ বার তাতেই ঢুকে গেলেন প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির মুখ মোদী।