ছোটেদের টিকিটেও বিপুল আয় রেলের। — প্রতীকী চিত্র।
ভারতীয় রেলের কাছে ছোটরা মোটেও হেলাফেলার নয়। শুধু ছোটদের জন্য টিকিট বিক্রি করেই বিপুল আয় রেলের। গত সাত বছরে রেলের কোষাগারে দূরপাল্লার ট্রেনে ছোটদের টিকিট বাবদ এসেছে ২,৮০০ কোটি টাকা। সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে এক অবেদনের জবাবে এমনটাই জানিয়েছে রেল।
ছোটদের টিকিট সংক্রান্ত নিময় রেল বদলায় ২০১৬ সালে। পাঁচ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য এখনও অর্ধেক ভাড়া দিতে হয়। সেই ভাড়া দিয়েই তারা যাত্রা করতে পারে। তবে সংরক্ষিত আসন মেলে না। অভিভাবকদের আসনে বসতে হয়। অতীতে আলাদা আসন বা বার্থ নিলে তার জন্যও অর্ধেক ভাড়া দিতে হত। কিন্তু ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল থেকে চালু হওয়া নিয়মে শিশুদের জন্য আলাদা আসন বা বার্থ নিতে গেলে পুরো ভাড়া দেওয়ার নিয়ম চালু করে। আর তাতেই রেলের বিপুল আয় হয়েছে।
রেলের টিকিট বিক্রি থেকে আয়-সহ বিভিন্ন হিসাব রাখে সেন্ট্রাল ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম (ক্রিস)। সেই ক্রিসই সম্প্রতি জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রেলের বিপুল অর্থাগম হয়েছে শিশুদের টিকিটের নিয়ম বদলের ফলে। এই একটি বছরেই রেল রোজগার করেছে ৫৬০ কোটি টাকা। আর নিয়ম চালুর পর থেকে অর্থাৎ ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রেলের আয় হয়েছে ২,৮০০ কোটি টাকার বেশি।
হিসাব বলছে, এই সাত বছরে ক্রমেই পুরো ভাড়া দিয়ে শিশুদের জন্য আলাদা আসন বা বার্থ নেওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। এখন ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা শিশুদের জন্য আলাদা আসন নিচ্ছেন পুরো ভাড়া দিয়ে। গত সাত বছরে ৩.৬ কোটি শিশু অর্ধেক ভাড়া দিয়ে অভিভাবকদের বার্থেই সফর করেছে। সেখানে ১০ কোটির বেশি শিশু পুরো ভাড়া দিয়ে পুরো আসন নিয়েছে। প্রতি বছর ধাপে ধাপে রেলের এই আসন বাবদ আয় বৃদ্ধি পেলেও তা কমে যায় ২০২০-২১ অর্থবর্ষে। করোনাকালের সেই সময়টায় রেলের এক বছরে শিশুদের বার্থ বাবদ আয় হয় ১৫৭ কোটি টাকা।