প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।
জোট সরকারে শরিক বড় বালাই। সেই শরিক-নির্ভরতার কথা মাথায় রেখেই শরিক দলগুলির সঙ্গে সম্পর্ক মসৃণ করতে মঙ্গলবার এনডিএ-র সব সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকার গড়ার পরে এই প্রথম। গত দশ বছরে ক্ষমতায় এনডিএ জোট থাকলেও, যা কার্যত দেখাই যায়নি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিন সকালে সংসদের পাঠাগার ভবনে ওই বৈঠক করেন মোদী। অথচ গত দশ বছর ধরে সংসদ চলাকালীন মঙ্গলবারের সকালে শুধু বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন মোদী। সেখানে কার্যত ডাকই পেতেন না এনডিএ সাংসদেরা।
গত দশ বছর ধরে এনডিএ-র জোট সরকার চললেও, নিজস্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে শরিক দলের সমর্থন অন্তত সরকার টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন হয়নি বিজেপির। কিন্তু এ বার সরকার শরিক-নির্ভর। টিডিপি ও জেডিইউয়ের মতো শরিকরা পাশ থেকে সরে গেলে সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। তাই গোড়া থেকেই শরিক দলগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে উদ্যোগী মোদী। বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, সামনে পাঁচ বছরের লম্বা রাস্তা রয়েছে। এই পাঁচ বছর সাংসদদের কোন পথে চলা উচিত, সে কথা বলতেই ওই বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে প্রথম বার সংসদে পা-দেওয়া সাংসদদের বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দেন মোদী। সূত্রের মতে, তিনি বলেন, প্রথম বার যাঁরা সাংসদ হয়ে দিল্লিতে এসেছেন, তাঁদের সামনে নানা প্রলোভন আসবে। কিন্তু সেই ফাঁদে পা দিলে নিজেরাই বিপদে পড়বেন। তাই সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে, সাংসদদের প্রতিটি অধিবেশনে উপস্থিত থাকা, সংসদীয় বিতর্কে নিয়মিত অংশ নেওয়া, নিজেদের
এলাকার সমস্যা তুলে ধরা, প্রশ্ন করার মতো বিষয়ে সাংসদদের অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দেন মোদী। পাশাপাশি, তিনি সব সাংসদকে নিজের পছন্দমতো কোন একটি বিষয় (পরিবেশ, সামাজিক সমস্যা, নারীদের ক্ষমতায়ন, কৃষি ইত্যাদি) বেছে নিয়ে তা নিয়ে বিস্তারিত পড়াশোনা করার উপরেও জোর দিয়েছেন মোদী।