ছবি পিটিআই।
কোভিড বর্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তাঁর নিয়মমাফিক বিশ্ব-সফর করতে দেয়নি ঠিকই। কিন্তু তাঁর কূটনৈতিক দৌত্যের চাকা বন্ধ থাকেনি। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে চলতি বছরে অন্তত ৯০টি ফোনালাপ সেরেছেন তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে! শুধুমাত্র অতিমারি পরিস্থিতি বা টিকা কূটনীতিই নয়, কথা হয়েছে বাণিজ্যিক, কৌশলগত দিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়েও। শুধু ফোনই নয়, ১৭টি বহুপাক্ষিক বৈঠকে তিনি নিজে উপস্থিত থেকেছেন।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে, কোভিড সার্বিক ভাবেই বদলে দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, তার রীতিনীতি এবং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ধরন। কোনও দেশে মন্ত্রিসভা এবং আমলাদের বাছাই করা প্রতিনিধি দল নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় আলোচনার পর যৌথ বিবৃতি এবং চুক্তি সই ছিল এত বছরের দস্তুর। এখন পুরোটাই হচ্ছে অনলাইনে। অতিমারি শুরু হওয়ার পরে প্রথম ভার্চুয়াল বৈঠক হল ১৫ মার্চ সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলির নেতাদের মধ্যে। ভারত উদ্যোগী হয়েছিল সেই বৈঠকটিতে। সেই শুরু। তার পর
একে একে ন্যাম, এসসিও, আসিয়ান, জি-২০, ব্রিকস, ইস্ট এশিয়ান সামিট হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উপস্থিত থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া ইইউ, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম-সহ ১৭টি দেশের রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠক করেছে সরকার। অনেক ক্ষেত্রে যৌথ বিবৃতিও প্রকাশিত হয়েছে।
চলতি বছরে মাত্র পাঁচ জন রাষ্ট্রনেতাকে ভারত সফরে আসতে দেখা গিয়েছে। তাও সেটা ভারতে কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগে। বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, ঘরবন্দি অবস্থায় ভারতের আন্তর্জাতিক দৌত্য এবং সংযোগ কোনও অংশে তো কমেইনি। বরং বহু ক্ষেত্রে তা প্রযুক্তির সাহায্যে আগের তুলনায় বেড়ছে।