দিল্লির তিন মূর্তি ভবন। — ফাইল চিত্র।
নয়াদিল্লির তিন মূর্তি ভবনের ‘নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরি (এনএমএমএল) সোসাইটি’-র নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে বদল করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বুধবার ভারত সরকারের অধীন ওই স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন সমিতির চেয়ারপার্সন নৃপেন্দ্র মিশ্র এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এ বার থেকে এনএমএমএল-এর পরিচিতি হবে ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা এবং গ্রন্থাগার সোসাইটি’ (প্রাইম মিনিস্টার মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটি বা পিএমএলএল সোসাইটি) নামে।’’
কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে সংস্থার পরিচালন সমিতি ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের আগে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র। বলেন, ‘‘১৪ অগস্ট থেকে নতুন নামকরণ কার্যকর হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পরে তাঁর বাসভবন তিন মূর্তি ভবন সংরক্ষণের ভার হাতে নিয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। পরে নেহরু সংগ্রহশালা এবং গবেষণার কেন্দ্র হয়ে ওঠে তা। মোদী ক্ষমতায় আসার পরে দেশের সমস্ত প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানাতে একটি স্মারক গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। ঠিক হয়, তিন মূর্তি ভবনে হবে সেটি।
গত জুন মাসে নেহরু সংগ্রহশালার নাম বদলের কথা প্রথম জানিয়েছিল কেন্দ্র। সোসাইটির সহ-সভাপতি রাজনাথ সিংহের উপস্থিতিতে পরিচালন সমিতির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তের কথা জানাজানি হতেই কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে অভিযোগ করেছিলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং আধুনিক ভারত গঠনে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম মুছে দিতেই এই পদক্ষেপ করেছে মোদী সরকার।
সে সময় মোদী সরকারের সমালোচনা করে খড়্গে টুইটারে লেখেন, ‘‘নেহরু সংগ্রহশালার নাম বদলে দিয়ে আধুনিক ভারতের রূপকার এবং গণতন্ত্রের অভিভাবক পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুকে খাটো করা যাবে না।’’ বুধবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটারে লেখেন, ‘‘দেশের প্রথম এবং সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ছায়া সম্পর্কে মোদীর ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে। তাই নেহরুর উত্তরাধিকারের ঐতিহ্যকে মুছে দিয়ে ‘এন’ এবং বদলে ‘পি’ বসিয়েছেন।’’