ছবি এএফপি।
ভোটমুখী বছরেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ শেষ করা হবে বলে জানাল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই প্রকল্প দ্রুত শেষ করার জন্য আজ ৮৫৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রেল সূত্রে বলা হয়েছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো নতুন পথে যাওয়ায় এক ধাক্কায় প্রকল্প খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। আজ সেই অর্থই মঞ্জুর করল কেন্দ্র।
বিহারের পরেই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে যে বিজেপি ঝাঁপাতে চলেছে, আজ কার্যত তারই ইঙ্গিত মিলল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর বরাদ্দ ঘোষণায় যে সময় ব্যয় করেছেন, তা থেকে স্পষ্ট, আগামী দিন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিষয়ে আরও বেশি করে সরব হতে চলেছেন কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা। আজ নিজের বক্তব্য শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রকল্পের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি ফের সাংবাদিকদের জানান রেলমন্ত্রী।
আজ পীযূষের দাবি, “আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে।” যদিও ওই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে রেল কর্তাদেরই।
প্রকল্প রূপায়ণে ‘দীর্ঘসূত্রিতার’ জন্য নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পীযূষ। তিনি বলেন, “জমি অধিগ্রহণজনিত সমস্যা ও সেই কাজে রাজ্য সরকারের অসহযোগিতামূলক মনোভাবের কারণে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করেও প্রকল্পের কাজ আটকে যায়। জমির অভাবে বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট অংশে কাজ পড়ে থাকে। নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর চূড়ান্ত গতিপথ ছাড়পত্র দেওয়া হয়।” পীযূষের দাবি, এর পর থেকে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে ওই প্রকল্পের নজরদারি করা শুরু করেন। সেই কারণেই কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনার মানুষদের স্বস্তি দিতে ওই পরিকল্পনা দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বকেয়া অর্থ আজ মঞ্জুর করেছে।
পীযূষ জানান, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর একাধিক বিশেষত্ব রয়েছে। এই প্রকল্পে প্রথম বার ভারতে নদীর তলা দিয়ে ট্রেন ছুটবে। হাওড়া হতে চলেছে দেশের গভীরতম মেট্রো স্টেশন। অন্য দিকে আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের কথা মাথায় রেখে এই মেট্রোর ট্রেন সেট নির্মাণের দায়িত্বে ছিল দেশীয় সংস্থা বিইএমএল। গোটা রুটটি চালু হলে ফি দিন প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছে রেল।