Narendra Modi

হিংসা নয়, মোদীর বার্তা যুবসমাজকে 

বছরের প্রথম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আজ পরতে পরতে যুবকদের প্রসঙ্গই টেনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৪০
Share:

ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা অর্পণ প্রধানমন্ত্রীর। ছবি: পিটিআই

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিরোধের জেরেই অসমে ‘খেলো ইন্ডিয়া’ অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি। এখনও দেশের নানা প্রান্তে ছাত্র-যুবরা আন্দোলন করছেন। বছরের প্রথম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আজ পরতে পরতে যুবকদের প্রসঙ্গই টেনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই সঙ্গে সুকৌশলে জানালেন, ‘‘হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান করে না।’’

Advertisement

প্রতি মাসের শেষ রবিবার সকাল এগারোটায় রেডিয়োতে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আজ রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের জন্য সকালের বদলে সন্ধে ছ’টায় সেই অনুষ্ঠান করলেন তিনি। আর কিছুক্ষণ এ-কথা, ও-কথার পর নিজেই তুললেন অসমে হয়ে যাওয়া ‘খেলো ইন্ডিয়া’র কথা আর সেখানে একের পর এক যুবকের সাফল্য। গরিব ঘরের অনেক সন্তান, মহিলারাও কী ভাবে রেকর্ড ভেঙেছেন, তার কথা শোনালেন। বললেন, ক’দিন আগে দিল্লিতে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর যুবকদের প্রতি তাঁর আস্থা আরও বেড়ে গিয়েছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর

পূর্তির বছরে ভারতের গগনযানের জন্য চার যুবক বায়ুসেনা পাইলট রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ নিতে যাবেন, সেটিও জানিয়ে দিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: অমিতের সামনেই এনআরসি-বিরোধী যুবাকে মার

প্রধানমন্ত্রী যে ‘খেলো ইন্ডিয়া’র প্রসঙ্গ আজ নিজে থেকেই তুললেন, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কারণে তারই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি তিনি। এ মাসের গোড়ায় কলকাতা সফরের ঠিক আগেই অসমে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে সফর বাতিল করেন। আজ তিনি মনে করিয়ে দিলেন, অসমের আট জঙ্গি সংগঠনের ৬৪৪ জনের হাতিয়ার সমর্পণের কথা। তার পরেই শোনালেন, ‘‘দেশের অন্য প্রান্তে এখনও হিংসা ও হাতিয়ারের জোরে সমস্যা খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু হিংসা কোনও সংস্যার সমাধান নয়। সৌভ্রাতৃত্ব, সব বিভাজনের চেষ্টাকে প্রতিহত করে।’’

কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, এদেশে বিভাজনের রাজনীতি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সেনাপতি অমিত শাহই করছেন। কংগ্রেসের নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির মতে, ‘‘এক লাইনের একটা ঘোষণাই দেশজুড়ে যাবতীয় বিক্ষোভকে রাতারাতি প্রশমিত করতে পারে। যদি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দেন, সরকার জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চালু করবে না। কিন্তু সেটি তো তাঁরা বলছেন না। উল্টে ধর্মের নামে নাগরিকত্ব দেওয়ার সম্ভাবনাকে জিইয়ে রেখে বিভাজনে উস্কানি দিচ্ছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement