সিঙ্গাপুর পৌঁছলেন মোদী। ছবি: পিটিআই।
দু’দিনের ব্রুনেই সফর শেষ। এ বার সিঙ্গাপুরে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সিঙ্গাপুরে এটি তাঁর পঞ্চম সফর। সেখানে সিঙ্গাপুরের নতুন প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়াং এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রেসিডেন্ট থার্মান শন্মুগরত্নমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। বৈঠকে থাকবেন মন্ত্রী লি সিয়েন লুং, গোহ চোক টং এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প-বাণিজ্য কর্তারাও।
মঙ্গলবারই ব্রুনেই পৌঁছন মোদী। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ ৪০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ব্রুনেইয়ে পা রাখলেন। সে দেশে পৌঁছেই প্রথমে বিখ্যাত ওমর আলি সইফুদ্দিন মসজিদ পরিদর্শনে যান মোদী। ব্রুনেইয়ের বন্দর সেরি বেগাওয়ানের ওই মসজিদে তাঁকে স্বাগত জানান ব্রুনেইয়ের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী পেহিন দাতো উস্তাজ হাজি আওয়াং বদরউদ্দিন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাতো হাজি মোহাম্মদ ইশাম। মঙ্গলবার ব্রুনেইয়ের ভারতীয় দূতাবাসের একটি অংশেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সেরি বেগাওয়ানেই রয়েছে ব্রুনেইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়ার সরকারি বাসভবন ইস্তানা নুরুল ইমান। সেখানেই হাসানালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সেরেছেন মোদী। আলোচনার শেষে তিনি সুলতানের আয়োজিত নৈশভোজ সভাতেও যোগ দেন। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ব্রুনেই তেল সমৃদ্ধ দেশ। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আসিয়ান-ভারত সম্পর্কের সমন্বয়ক রাষ্ট্র হিসাবে কাজ করেছে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত এই দ্বীপরাষ্ট্র। সেখানে প্রায় ১৪ হাজার ভারতীয়ের বাস। এ ছাড়া, ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভিশনেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ব্রুনেই।
ব্রুনেই সফর শেষে বুধবারই সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন মোদী। সেখানকার রাষ্ট্রপ্রধান এবং শিল্প-বাণিজ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সারবেন তিনি। আলোচনা হবে উৎপাদন, ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, সংযোগ এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ে। তার পর দু’দিনের সিঙ্গাপুর সফর শেষে দেশে ফিরবেন। ব্রুনেই, সিঙ্গাপুর-সহ বৃহত্তর আসিয়ান অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক পোক্ত করতেই প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ।