ফাইল ছবি
পাঁচ বছর আগে নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাতের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার ২৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৫টিই কংগ্রেস জিতে নিয়েছিল। বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ন’টি।
চলতি বছরের শেষে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে এই আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ককেই পাখির চোখ করে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের রাজ্যে গিয়ে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ৩০৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেছেন। সেই সঙ্গে কংগ্রেসকে নিশানা করে অভিযোগ তুলেছেন, ‘‘যারা দীর্ঘদিন ধরে দেশ শাসন করেছে, তারা আদিবাসী এলাকার উন্নয়নে কোনও নজর দেয়নি। কারণ এতে কঠোর পরিশ্রম হয়।’’ নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেও নভসারি জেলার আদিবাসী এলাকা খুদবেলে বিজেপির গুজরাত গৌরব অভিযান জনসভায় মোদীর দাবি, তিনি ভোট পাওয়ার জন্য বা নির্বাচনে জয়ের জন্য উন্নয়নের কাজ করেন না। তিনি উন্নয়নের কাজ করেন মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নের জন্য। তাঁর সরকারের আমলে আদিবাসী এলাকায় কী ভাবে উন্নয়নের কাজ হয়েছে, কোভিডের টিকাকরণ হয়েছে, তারও বর্ণনা দিয়েছেন মোদী।
শুধু চলতি বছরের গুজরাত নির্বাচন নয়। আগামী বছর যে তিনটি রাজ্যে ভোট, সেই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়েও আদিবাসী এলাকার ভোট বিজেপির পক্ষে চিন্তার কারণ। এই রাজ্যগুলিতে মোট ১২৮টি আসন জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। ২০১৭ ও ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এই ১২৮টি আসনের মধ্যে মাত্র ৩৫টি আসন জিততে পেরেছিল। আদিবাসী মন জিততে এ বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও জুয়াল ওরাম, দ্রৌপদী মূর্মুর মতো কোনও জনজাতি নেতা-নেত্রীকে বিজেপি প্রার্থী করতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।
বিজেপি নেতারা মনে করছেন, পাঁচ বছর আগে গুজরাতের আদিবাসী এলাকায় দলের ব্যর্থতার পিছনে মূল কারণ ছিল জলের অভাব। পানীয় জল ও চাষের জল, দুই-ই। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী যে সব সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস বা উদ্বোধন করেছেন, তার বেশির ভাগই জল সরবরাহ প্রকল্প। তিনি তাপি, নভসারি, সুরাত জেলায় ১৩টি জল সরবরাহ প্রকল্পের ভূমিপুজো করেছেন। মধুবন বাঁধ থেকে একটি জল সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। সুরাত, ভালসাদ, নভসারি, তাপি জেলায় ‘নল সে জল’ প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেছেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।