ছবি: পিটিআই।
কলকাতা, চেন্নাই, বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের সঙ্গে সুবিধাজনক দূরত্বে থাকা আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর আগামী দিনে এই অঞ্চলে নৌ-বাণিজ্যের নতুন কেন্দ্র বা হাব হয়ে উঠতে পারে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রবিবার ওই দ্বীপপুঞ্জের বিজেপি কর্মীদের ভিডিয়ো-বার্তায় মোদী বলেন, আন্দামান-নিকোবরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকার দায়বদ্ধ। দ্বীপপুঞ্জে দ্রুত গতির নেট পরিষেবা চালুর লক্ষ্যে সমুদ্রের নীচ দিয়ে পাতা অপটিক্যাল ফাইবার কেব্ল সোমবারই সেখানকার মানুষের উদ্দেশে সমর্পণ করবেন তিনি। তাতে ইন্টারনেটে পড়াশোনা থেকে শুরু করে বিক্রিবাটা, সুবিধা হবে সবেরই। এ ছাড়াও, এখানকার ১২টি দ্বীপে বিভিন্ন সুদূরপ্রসারী প্রভাবের প্রকল্প শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে তাঁর দাবি। বন্দরের কথা উঠেছে সেই সূত্রে।
অনুষ্ঠানে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার দাবি, সঠিক সময়ে প্রধানমন্ত্রীর লকডাউনের বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তের কারণেই প্রাণ বেঁচেছে বহু মানুষের। ওই সময়কে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা গিয়েছে চিকিৎসা-পরিকাঠামো। বাড়ানো গিয়েছে করোনা পরীক্ষা। নিশ্চিত করা গিয়েছে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যায় পিপিই, মাস্কের সরবরাহও। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানেই এক স্থানীয় বিজেপি নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, আন্দামান-নিকোবরে সংক্রমণ বাড়ছে ঝড়ের গতিতে। বাড়ছে মৃত্যু। খোয়াতে হয়েছে ডাক্তার, পুলিশের মতো প্রথম সারির বহু যোদ্ধাকেও। এমনকি তার মাসুল গুনে পর্যাপ্ত সংখ্যায় ডাক্তার না-থাকায় অনেক ক্ষেত্রে খোলা রাখা কঠিন হচ্ছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র! যদিও লকডাউনের সময়ে বিশেষ বিমানে ওষুধ-সহ বিভিন্ন জরুরি সামগ্রী পাঠানোর বন্দোবস্ত কেন্দ্র না-করলে, স্থানীয় মানুষ আরও বিপদে পড়তেন বলে তাঁর দাবি। স্থানীয় বাঙালি নেত্রী শম্পা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে দ্বীপপুঞ্জের মহিলা বিজেপি সদস্যদের উদ্যোগ জেনে হাততালি দিয়েছেন মোদীও।