১২ মার্চ গুজরাতে পৌঁছনোর পরে কোভিড পরীক্ষায় তাঁর সংক্রমণ ধরা পড়ে। নমুনাটি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়। ১৪ মার্চ মুম্বইয়ে ফিরে আসেন তিনি।’’ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে এক্সই ভেরিয়েন্টের অস্তিত্ব ধরা পড়ে বলে জানান মন্ত্রী।
ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়ে গেল সকল প্রাপ্তবয়স্ককে বুস্টার ডোজ় দেওয়ার কর্মসূচি। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার কমপক্ষে ন’মাস পেরিয়ে গিয়েছে বেসরকারি কেন্দ্রগুলি থেকে এই ডোজ় নিতে পারবেন তাঁরা।
শুক্রবারই কেন্দ্রের তরফে এই কর্মসূচি শুরুর কথা ঘোষণা করা হয়। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আগেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আগে যে টিকাটির দু’টি ডোজ় নিয়েছেন যেন তারই তৃতীয় ডোজ় দেওয়া হয় সে দিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রগুলির জন্য পরিষেবা ফি বেঁধে দিয়েছে সরকার। জানানো হয়েছে, পরিষেবা বাবদ টিকার দামের উপর অতিরিক্ত দেড়শো টাকার বেশি নিতে পারবে না কেন্দ্রগুলি।
তা ছাড়া কোউইন পোর্টালে আগে থেকেই সব তথ্য মজুত থাকায় বুস্টার নিতে আসা ব্যক্তিদের ফের রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। পাশাপাশি প্রত্যেক টিকাকরণ কেন্দ্রে ‘অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ এবং ‘ওয়াক-ইন রেজিস্ট্রেশন’ দুই ব্যবস্থাই রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
‘বহুরূপী’ করোনাকে হালকা ভাবে নেবেন না। কেউ জানে না কখন ফের জোর কদমে তার প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে— অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিরোধ বজায় রাখতে দেশবাসীর কাছে এই আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে প্রতিষেধকের মোট ১৮৫ কোটি ডোজ় দেওয়া শেষ করেছে কেন্দ্র।
রবিবার গুজরাতের জুনাগড় জেলার মা উমিয়া ধামের মহাপটোৎসব-এ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘করোনা দেশ তথা বিশ্বের সামনে একটা বড় সঙ্কট ছিল। কিন্তু আমরা এক বারও বলছি না যে তা আমরা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। হয়তো তা সাময়িক বিরতি নিয়েছে। তবে আমরা এও জানি যে তার প্রত্যাবর্তন যে কোনও সময় ঘটতে পারে। এটা একটা ‘বহুরূপী’ রোগ।’’ সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘বিশ্বের কাছে বিস্ময়ের নজির সৃষ্টি করে আমরা ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে ১৮৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ় দিয়ে ফেলেছি। এই সবই সম্ভব হয়েছে আপনাদের সহযোগিতায়।’’
অন্য দিকে, দেশে ওমিক্রনের নয়া ভেরিয়েন্ট ‘এক্সই’-র হদিস মিলেছে বলে খবর ছড়ানোর পর থেকেই আশঙ্কা বাড়ে জনগণের মনে। তবে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপের দাবি, এই ভেরিয়েন্ট প্রাণঘাতী নয়। সঙ্গে তিনি জানালেন, রাজ্যে যে ৬৭ বছরের বৃদ্ধের শরীরে এই স্ট্রেনের হদিস মিলেছে তাঁর কোনও উপসর্গ নেই। সংবাদমাধ্যমকে মন্ত্রী জানান, গত মাসে গুজরাতে ওই ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার আগে তিনি সস্ত্রীক মুম্বইয়ে ছিলেন। টোপের কথায়, ‘‘ওই ব্যক্তি ৬ মার্চ লন্ডন থেকে ফেরেন। দুই ব্রিটিশ নাগরিকের সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি। ১১ মার্চ হালকা জ্বর আসে ওই বৃদ্ধের। ১২ মার্চ গুজরাতে পৌঁছনোর পরে কোভিড পরীক্ষায় তাঁর সংক্রমণ ধরা পড়ে। নমুনাটি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়। ১৪ মার্চ মুম্বইয়ে ফিরে আসেন তিনি।’’ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে এক্সই ভেরিয়েন্টের অস্তিত্ব ধরা পড়ে বলে জানান মন্ত্রী।
গুজরাতে ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসা তিন জনের পরীক্ষা করা হয়। তবে তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে বলেই জানিয়েছেন মন্ত্রী।