ফাইল চিত্র।
এই প্রথম বার ওয়র্ল্ড ইকনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)-এর ‘দাভোস অ্যাজেন্ডা’র বৈঠক আজ শুরু হল অনলাইন মাধ্যমে। চলবে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই মঞ্চে বক্তৃতা দিতে দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-কে। তবে আলাদা দিনে। সূত্রের মতে, এ বারের আলোচনায় মূল বিষয়টি হয়ে উঠতে চলেছে, অতিমারি আক্রান্ত বিশ্বের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ।
সম্প্রতি করোনার জেরে গোটা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক বৈষম্য সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করেছে এই বিশ্ব আর্থিক মঞ্চটি। সেখানে বলা হয়েছে, ভারত-চিনের তলানিতে নামা সম্পর্কও বিশ্বে ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যার জেরে অনিশ্চয়তা বাড়তে পারে বিশ্ব বাণিজ্য ও বৃদ্ধিতে। ডব্লিউইএফের মতে, স্বাস্থ্য, এবং অর্থনীতির প্রশ্নে এক শ্রেণির মানুষের পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়বে। সেই সঙ্গে রিপোর্টে আগামী দু’বছরে রোগের প্রকোপ, চাকরির অভাবের কারণে জীবন ও জীবিকায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বিপুল ঋণ, তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো ভেঙে পড়া, চড়া মূল্যবৃদ্ধিকেও।
আগামিকাল, সোমবার এই মঞ্চে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা দেবেন শি। তার তিন দিন পরে, অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি বক্তা মোদী। করোনা-পরবর্তী বিশ্বে চিনের বিরুদ্ধে কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক আগ্রাসনের অভিযোগ জোরালো ভাবে তুলেছে আমেরিকা, ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি। ডব্লিউইএফ-এ মোদীর আসন্ন বক্তৃতায় বিষয়টি উঠে আসে কিনা, সে দিকে নজর থাকবে কূটনৈতিক বিশ্বের।