ছবি: পিটিআই।
হাস্যরস, বুদ্ধিমত্তা আর আইনের অর্ন্তদৃষ্টি তাঁর ব্যক্তিত্বকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। আমার সেই বন্ধুকে সব সময়েই হারাই— এই ভাষাতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আজ ছিল জেটলির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। দেহের বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ায় গত বছরের এই দিনটিতেই দিল্লির এমস হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল জেটলির। মোদী তখন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। বিদেশের মাটিতেই সেই খবর পান তিনি। প্রথমে সুষমা স্বরাজ, তার তিন সপ্তাহের মধ্যে জেটলির মৃত্যু নাড়িয়ে দেয় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে। আজ জেটলির মৃত্যুবাষিকীতে প্রয়াত নেতাকে ঘিরে ব্যক্তিগত আবেগ প্রকাশ পেয়েছে দলের শীর্ষনেতৃত্বের কথায়। টুইটারে মোদী লিখেছেন, ‘‘গত বছরের এই দিনেই অরুণ জেটলিকে হারিয়েছিলাম। তাঁর মতো বন্ধুকে সব সময়েই হারাই।’’ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘জেটলির সুক্ষ হাস্যরস, বুদ্ধিমত্তা আর আইনের অর্ন্তদৃষ্টি তাঁর ব্যক্তিত্বকে উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল।’’ জেটলির স্মরণসভায় তাঁর সম্পর্কে কী বলেছিলেন, সেই ভিডিয়োও আজ পোস্ট করেছেন মোদী।
শুধু মোদীই নন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা— জেটলিকে স্মরণ করেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। জেটলির বাগ্মিতার প্রসঙ্গ টেনে অমিত টুইটারে লিখেছেন, অসাধারণ রাজনীতিক জেটলি মানুষ হিসেবেও ছিলেন চমৎকার। নড্ডার দাবি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা করা জনমুখী প্রকল্পগুলির কথা দেশ সব সময়েই মনে রাখবে। আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ টেনে এনেছেন বিজেপির বিস্তারে জেটলির ভূমিকার কথা। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির মৃত্যুবার্ষিকীতে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) নিয়ে ছাড়ের কথাও ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। জিএসটি রূপায়ণে জেটলির ভূমিকার কথা অর্থ মন্ত্রকের তরফে তুলে ধরা হয়েছে।