কুনো থেকে পালাল ওবান। প্রতীকী ছবি।
কিছুতেই আটকে রাখা যাচ্ছে না ‘ওবান’কে। মাসখানেক আগেই মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল নামিবিয়া এই চিতা। ঢুকে পড়েছিল লোকালয়ে। কুনো থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের এক গ্রামে সেটিকে দেখতে পাওয়া যায়। বন দফতর সেটিকে ধরতে গেলে সেখান থেকেও পালিয়ে যায় ওবান। বেশ কিছু দিন কুনোর বাইরে কাটানোর পর শেষমেশ তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বেহুঁশ করে তুলে নিয়ে এসে কুনোতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বার বার কুনো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে ওবানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঘুমক্কর’। অর্থাৎ ভবঘুরে। কিন্তু কিছুতেই কুনোতে যেন মন টিকছে না ওবানের। আবার পালিয়ে গিয়েছে সেটি। এ বার পালিয়ে কোনও লোকালয়ে নয়, একেবারে বাঘের ডেরায় ঢুকে পড়েছে নামিবিয়ার এই চিতা। কুনোতে চিতা ছাড়ার পর থেকে কিছু না কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে। চিতাবাঘের সামনাসামনি হয়ে চিতার যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তাই চিতাবাঘগুলি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও নামিবিয়ার চিতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে বন দফতরের।
মাসখানেক আগে কুনো থেকে পালিয়ে ‘নিরুদ্দেশ’ হয়ে গিয়েছিল ওবান। শিবপুরী জেলার বেরাড় জেলা থেকে সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছিল। এ বার কুনো থেকে পালিয়ে ১০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শিবপুরী জেলার মাধব জাতীয় উদ্যানে ঢুকে পড়েছে সেটি। আর এই উদ্যানটি বাঘের ডেরা। এখানে দু’টি বাঘিনী এবং একটি বাঘ রয়েছে। এই উদ্যানের নতুন সদস্য। বাঘের সংখ্যা বাড়াতেই এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বাঘ এবং চিতা সচরাচর মুখোমুখি হয় না। কিন্তু ওবান বাঘের ডেরায় ঢুকে পড়ায় চিন্তায় বনদফতর। তবে রাজ্যের মুখ্য বনাধিকারিক জে এস চৌহান বলেন, “ওবানের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। যত ক্ষণ ওবান নিরাপদে থাকে, তত ক্ষণ আমরা কোনও রকম হস্তক্ষেপ করব না। তবে ওবানের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।”