মায়ের কোলে: জিশুর এমন ছবিই ঘুরছে ইন্টারনেটে।
জিশু খ্রিস্টের মহিলা সংস্করণ! তা-ও ‘মেড ইন চায়না’! চিনা মহিলা জিশুর অবতারকে নিয়ে আতঙ্কে উত্তর-পূর্বের খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাজ্য নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়। নাগাল্যান্ডের সর্বাধিক গির্জা যে পরিষদের অধীনে, সেই নাগাল্যান্ড ব্যাপটিস্ট চার্চ কাউন্সিল বিপজ্জনক চিনা জিশুর আদর্শ ও অপপ্রচার থেকে রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
চিনা জিশুর প্রচারের জন্য উত্তর-পূর্বে এখনও দফতর খোলা হয়নি বটে কিন্তু ইন্টারনেটে ব্যাপক প্রচার চলছে। প্রতিষ্ঠানের পোষাকি নাম ‘চার্চ অব অলমাইটি গড ফ্রম চায়না’। নাগাল্যান্ড ব্যাপটিস্ট চার্চ কাউন্সিলের অভিযোগ, বহু ফেসবুক পেজ, কমিউনিটি তৈরি করে তারা খ্রিস্টানদের ভুল বোঝাচ্ছে। অনলাইনে ধর্মালোচনা, ভিডিয়ো প্রচার, বাণী প্রচার চলছে। ফেসবুকে লক্ষাধিক অনুগামীও তৈরি হয়েছে মহিলা জিশুর। তাদের দাবি, প্রভু জিশু ফের জন্ম নিয়েছেন। এ বার তাঁর জন্ম হয়েছে চিনে। নারীর চেহারায়। তাঁর নাম ইয়াং ঝিয়াংবিন। তাঁকে ডাকা হচ্ছে ‘লাইটনিং ডেং’ বলে।
এমনকি তারা বাইবেলের ‘নিউ টেস্টামেন্ট’ও নতুন বাইবেলে বদলে ফেলেছে! নাম দিয়েছে, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাপিয়ার্স ইন দ্য ফ্লেশ’। তাদের দাবি, জিহোভার নেতৃত্বে ‘এজ অব ল’, প্রভু জিশুর নেতৃত্বে ‘এজ অব গ্রেস’-এর পর্ব পার করে এখন ‘এজ অব কিংডম’ চলছে। যেখানে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এক নারীর দেহে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছেন। ক্ষিপ্ত এক যাজক বলেন, “করোনা জীবাণু ছড়িয়ে বিশ্বে হাহাকার ছড়িয়ে শান্তি হয়নি চিনের। এখন খ্রিস্টধর্মের উপরে শুরু হয়েছে পরিকল্পিত হামলা। ইতিমধ্যে পশ্চিমি দেশগুলিতে ওই সংগঠন দফতর খুলে অনুগামী বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: পত্র-নাট্যের পর ‘গাঁধীদের চাই’!
আরও পড়ুন: ৭৩ দিনে টিকা? ভুয়ো জানিয়ে দিল সিরাম