এমন সাজেই সেজে উঠেছে খোলা হাওয়ায় তৈরি গোয়ার জিম। ছবি: সংগৃহীত।
কোথাও পেল্লায় চেহারার দশ মাথাওয়ালা রাবণ, আবার কোথাও গরুড় পাখিতে চড়ে বিষ্ণু— গোয়ায় জিমের এমন বাহার দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! আসলে, দীপ্তেজ ভার্নেকর নামে এক শিল্পী নিজের গ্রামের মানুষের হাতে বানানো এই রূপকথার চরিত্রদের জীবন্ত করে তুলে প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন একটি বিরসবদন জিমের। খোলা হাওয়ায় তৈরি এই জিমের প্রতিটি যন্ত্রের উপরই লাগানো রয়েছে একটি করে রূপকথার চরিত্রের মূর্তি। যা যন্ত্র চলার সঙ্গে সঙ্গেই নড়াচড়া করছে জ্যান্ত মানুষের মতোই।
দীপ্তেজ নিজে এক জন শিল্পী। থাকেন গোয়ারই একটি গ্রামে। যে গ্রাম বিখ্যাত এই সব মূর্তি তৈরির জন্য। শিল্পী বলছেন, ‘‘আমি গোয়ার একটি ছোট্ট গ্রামে বড় হয়ে উঠেছি। এই গ্রামে বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে নানা ধরনের মূর্তি ও পুতুল তৈরি করা হয়। বিশেষত্ব হল, সব মূর্তিই নড়াচড়া করতে পারে। উৎসব শেষে সেই মূর্তিগুলো দিয়েই এ বার জিম সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিলাম। সফল ভাবে সেই কাজ করতে পেরে খুবই আনন্দিত।’’
খোলা হাওয়ায় তৈরি গোয়ার জিমের চটক যেন রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে। ছোটরা যেমন আগ্রহ নিয়ে আসছে, তেমনই একটু ভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে শরীরকে সুস্থ রাখতে পিছিয়ে নেই বড়রাও। কসরতের পাশাপাশি শিল্পের এমন বাহার দেখে তাঁরাও মুগ্ধ। গোয়ায় চলছে ‘সেরেন্ডিপিটি আর্টস ফেস্টিভ্যাল’। সেখানেও শোভা পাচ্ছে দীপ্তেজের এই ‘ইন্সস্টলেশন’। আগামী দিনে এমন ভাবেই গোটা শহরকে সাজিয়ে তোলার ইচ্ছে রয়েছে শিল্পীর।