এনএসজি আধিকারিকেরা দিল্লির স্কুলের সামনের ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছেন। ছবি: পিটিআই।
দিল্লির রোহিণীর সিআরপিএফ স্কুলের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সেখানে হাজির হয়েছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি), জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ), পুলিশ এবং ফরেন্সিক দল। কিন্তু যে বিষয়টি এখন তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে সেটি হল, স্কুলের সামনে উদ্ধার হওয়া সাদা রঙের রহস্যময় পাউডার। কিসের থেকে বিস্ফোরণ, তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।
রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ রোহিণীর প্রশান্ত বিহার এলাকার ওই স্কুলের সামনে বিস্ফোরণ হয়। সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যায় স্কুলের আশপাশ। জোরালো বিস্ফোরণে ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়েরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের পর বিকট একটি গন্ধে ভরে যায় এলাকা। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তবে এই বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েকটি দোকানের কাচ, রাস্তায় দাঁড় করানোর কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি।
ফরেন্সিক দল সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বিস্ফোরণে তাজা বোমার মতো কিছু ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে এখনও স্পষ্ট নয়, বিস্ফোরণ ঘটাতে কী জাতীয় বিস্ফোরক ব্যবহার হয়েছে। স্কুলের সামনে উদ্ধার হওয়া সাদা পাউডারও পরীক্ষা করছে ফরেন্সিক দল। পুলিশ জানিয়েছে, পৌনে ৮টা নাগাদ তাদের কাছে বিস্ফোরণের খবর আসে। জানানো হয়, সেক্টর ১৪-র সিআরপিএফ স্কুলের পাশে বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে দেখে আশপাশের কয়েকটি দোকানের কাচ ভেঙে গিয়েছে। একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, প্রথমে মনে হয়েছিল গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পরই আশপাশের থানাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। বাজারগুলিতে নজরদারি বৃদ্ধি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয়েছে সন্দেহজনক কোনও বস্তু দেখলেই পুলিশকে যেন খবর দেওয়া হয়। এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনও জঙ্গিযোগ রয়েছে কি না আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা।