Bomb Scare in Flights

ভারতের আকাশসীমা নিরাপদ! বিমানে পর পর বোমাতঙ্কের ঘটনায় যাত্রীদের আশ্বস্ত করল বিসিএএস

গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থায় হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে। ছ’দিনে বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, আকাসা এয়ারলাইন্সের একের পর এক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৪৬
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ভারতীয় সংস্থার একের পর এক অন্তর্দশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে বোমা হামলার হুমকি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিমানে চড়তেই ভয় পাচ্ছেন এখন অনেকে। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের আশ্বস্ত করলেন অসামরিক বিমান নিরাপত্তা সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিয়োরিটি (বিসিএএস)। সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল জ়ুলফিকর হাসান জানান, ভারতের আকাশসীমা সম্পূর্ণ নিরাপদ। যাত্রীদের তিনি আশ্বস্ত করেছেন, কোনও ভয় ছাড়াই বিমানযাত্রা করতে পারেন তাঁরা!

Advertisement

গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থাগুলিতে হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে। ছ’দিনে বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, আকাসা এয়ারলাইন্সের একের পর এক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে। শুধু শনিবারই ৩০টির বেশি বিমানে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তার পরই বিসিএএস তড়িঘড়ি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জ়ুলফিকর জানান, নিরাপত্তা সংস্থা এবং বিমান সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। যে সব বোমা হামলার ইমেল বা সমাজমাধ্যমে পোস্ট ছড়ানো হয়েছে, তা সবই ভুয়ো। যত দ্রুত সম্ভব এই সব ভুয়ো হুমকিবার্তা বন্ধের চেষ্টা চলছে।

শুধু তা-ই নয়, বিসিএএস-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, ‘‘ভারতীয় আকাশসীমা একেবারে নিরাপদ। যাবতীয় প্রোটোকল মেনে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে। আমরা যাত্রীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, বিমানযাত্রায় তাঁদের কোনও ভয় নেই।’’ শনিবারের বৈঠকে ধারাবাহিক বোমা হামলার হুমকির ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিমান সংস্থাগুলি জানায়, এই বোমাতঙ্কের জেরে তাদের কতটা ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। বিসিএএস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখছেন। এমন ঘটনা বন্ধের জন্য যা যা করণীয়, সব করা হবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে বিমান সংস্থার প্রতিনিধিদের।

Advertisement

এই বোমাতঙ্ক কী ভাবে রোখা যায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নতুন নির্দেশিকা জারি করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বিসিএএস এবং দেশের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। প্রসঙ্গত, এক্স হ্যান্ডলকে ব্যবহার করে গত সোমবার থেকে লাগাতার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানগুলিতে হুমকিবার্তা দেওয়া হচ্ছে। যার জেরে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। কখনও বিমান বাতিল করতে হচ্ছে, কখনও জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করাতে হচ্ছে, কখনও আবার বিমান ওঠানামায় দেরি হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement