প্রতীকী ছবি।
ত্রিকোণ প্রেমের কথা তো অনেক শুনেছেন। কখনও দুই প্রেমিক, এক প্রেমিকা। বা আবার কখনও দুই প্রেমিকা, এক প্রেমিক। ত্রিকোণ প্রেমের সব ক্ষেত্রে পরিণতি পায় এ কথা হলফ করে বলা যায় না। তবে ‘মধুরেন সমাপয়েৎ’ না হলেও পরিণতি যে বহু ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর হয়, সেটাও আমরা মাঝেমধ্যেই দেখি বা শুনে থাকি। কিন্তু এ বার যে ত্রিকোণ প্রেমের কথা বলব, সেখানে তৃতীয় জন কিন্তু কোনও ‘মানুষ প্রেমিক‘ বা ‘প্রেমিকা’ নন, তবে প্রেমিক তো বটেই। আর সেই প্রেমিকের জন্যই স্ত্রী-র সঙ্গে স্বামীর ‘কলহের’ সূচনা।
এই কাহিনির তিন চরিত্র— স্বামী, স্ত্রী এবং মটন। এই গল্পের খলনায়ক সেই মটন। কেন? স্ত্রী-র মটনপ্রেমই এখন স্বামীর চক্ষুশূল! ঘটনাচক্রে দু’জনেই নিরামিষাশী। পাত্রী নিরামিশাষী দেখেই তাঁকে বিয়ে করেছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু বিয়ের কয়েক দিন পরই হাটে হাঁড়ি ভেঙে যায়। স্বামী জানতে পারেন স্ত্রী-র গোপন প্রেম রয়েছে মটনের সঙ্গে। সেটা জানতে পেরেই অগ্নিশর্মা স্বামী।
এক কলম লিখিয়ের কাছে তাঁর অভিযোগ জানিয়ে একটি চিঠি লেখেন ওই ব্যক্তি। সেই চিঠিই এখন ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। সেখানে তিনি প্রশ্ন করেছেন, মটন আগে না, তাঁর স্বামী? আর এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে নেটমাধ্যমে।
শিরীষ নামে ওই কলাম লিখিয়েকে তিনি অভিযোগ জানিয়ে লিখেছেন—
‘প্রিয় শিরীষ,
আমি পুরোপুরি নিরামিশাষী। আমি যাকে বিয়ে করেছি সে-ও নিরামিশাষী। কিন্তু পরে স্ত্রী স্বীকার করে, নিরামিশাষী হলেও মটনের প্রতি তার প্রেম আছে। সুদর্শনা ছিল বলে ওকে আমি বিয়ে করেছিলাম এবং এবং এই শর্তও রেখেছিলাম যে, কোনও দিন সে যেন মটন না খায়। কিন্তু সম্প্রতি জানতে পারি, বাইরে গিয়ে লুকিয়ে মটন খাচ্ছে সে। এবং আমাকে জানিয়েছে ও মটন ভালবাসে, এটি ছাড়া ওর চলবে না। আমি ওকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়েছি, দু’টির মধ্যে যে কোনও একটিকে বাছতে হবে। হয় তার স্বামী, না হয় মটন।’
এর পরেই ওই ব্যক্তি তাঁর আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘হুঁশিয়ারি তো দিয়েছি। কিন্তু স্ত্রী সত্যিই যদি মটনকে ভালবেসে আমাকে ছেড়ে চলে যায়, তা হলে?’ ওই কলাম লিখিয়েকে তাঁর প্রশ্ন, ‘আপনি কী মনে করেন, স্ত্রী কাকে বাছবে?’
এর পর ওই কলাম লিখিয়ে কৌতুকের সুরে অভিযোগকারী স্বামীকে উত্তর দেন—
‘প্রিয় শুদ্ধ নিরামিষাশী,
অভিনন্দন। আপনি নতুন নজির গড়েছেন। এই প্রথম কোনও ত্রিকোণ প্রেম যেখানে এক জন স্ত্রীকে তাঁর স্বামী এবং ছাগলের মধ্যে এক জনকে বেছে নিতে হবে। ভালবাসা ছাড়া কেউ বাঁচে না। আবার খাবার ছাড়াও। এ বার আপনি বুঝে নিন।’