অযোধ্যা মামলা তপ্ত, অসুস্থ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ

সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে রোজ শুনানি হচ্ছে অযোধ্যা মামলার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৪৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় মুসলিম পক্ষের আইনজীবীর একটি মন্তব্যে বৃহস্পতিবার উত্তাপ ছড়াল সুপ্রিম কোর্টে। বাদানুবাদের পরে শুনানির দ্বিতীয়ার্ধে আর আদালতে আসেননি বেঞ্চের মাথা প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সূত্রের খবর, অসুস্থ বোধ করায় তিনি বাড়ি ফিরে যান। তার ফলে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরে আর শুনানি হতে পারেনি।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে রোজ শুনানি হচ্ছে অযোধ্যা মামলার। প্রধান বিচারপতি ছাড়া বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি জি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এস এ ভূষণ। এম সিদ্দিকি নামে এক আবেদনকারীর এলাহাবাদ হাইকোর্টে দেওয়া সাক্ষ্য নিয়ে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী রাজীব ধবনকে প্রশ্ন করছিলেন বিচারপতিরা। রামসুরত তিওয়ারি নামে অন্য এক সাক্ষীর বয়ান তাঁরা ধবনকে পড়ে দেখতে বলেন, যাতে তিনি বলেছেন— বিতর্কিত মসজিদের রেলিংয়ে তিনি হিন্দুদের পুজো দিতে দেখেছেন। বিচারপতি ভূষণ ওই আইনজীবীকে বলেন, ‘‘এই সাক্ষী বলছেন, ১৯৩৫ সালে তিনি এই বিষয়টি দেখেছেন। একটু পড়ে দেখুন, আমরা কি এটা বিশ্বাস করব, নাকি বিষয়টি অন্য কিছু?’’ ধবন তার জবাবে বলেন, ‘‘মাননীয় বিচারপতির কণ্ঠে এক ধরনের আগ্রাসনের সুর শুনতে পাচ্ছি। মাননীয় যদি মনে করেন আমি তথ্য বিকৃত করছি, তা হলে তাঁর নির্দেশ মেনে আমি সেটি পড়ে শোনাচ্ছি।’’ এর পরেই কোর্ট উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ধবনের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী সি এস বৈদ্যনাথন ও রঞ্জিত কুমার। ধবন সঙ্গে সঙ্গে বলেন, ‘‘ক্ষমা চাইছি। মন্তব্য প্রত্যাহার করছি। আসলে আমি শঙ্কিত, কী করব বলুন! এত লম্বা সময় ধরে শুনানি চলছে...’’ প্রধান বিচারপতি হেসে বলেন, ‘‘মিস্টার ধবন, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ থেকে আসা লোকেরা সহজে ভয় পায় না! আমরা ইতিহাসের কথা বলছি।’’

বুধবারেও সুপ্রিম কোর্টের একটি মন্তব্যের বিরূপ সমালোচনা করে ক্ষমা চান আইনজীবী ধবন। এ দিন তাঁর দাবি— হিন্দুরা বাবরি মসজিদের প্রাচীরে যে পুজো দিত, এমন প্রমাণ হাতে নেই। এর পরেই বিচারপতিরা সাক্ষী তিওয়ারির বয়ানটি তাঁকে পড়তে বলেছিলেন। শুক্রবারও শুনানি চলবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement