—প্রতীকী ছবি।
পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঘুষের টাকা কার কার মধ্যে হাতবদল হয়ে কোথায় পৌঁছেছে, তার সন্ধান মিলেছে বলে শুক্রবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সুপ্রিম কোর্টকে জানাল।
স্কুলের পাশাপাশি পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তদন্তের বিরোধিতা করে নতুন করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। সিবিআই, ইডি অবশ্য ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। আজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির আইনজীবী, কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, এই দুর্নীতিতেও ঘুষের টাকা হাতফেরতা হয়ে কার কার কাছে পৌঁছেছে (মানি ট্রেল), তদন্তে তা স্পষ্ট হয়েছে। তদন্তকারীরা এই সংক্রান্ত প্রামান্য নথিও হাতে পেয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সেই নথি এখনই আদালতে পেশ করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষ হলেই চার্জশিট দায়ের করা হবে।
সৌমেন নন্দী নামে এক স্কুলে চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলার ভিত্তিতে পুরসভাতেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে। সৌমেনের আইনজীবী রউফ রহিম বলেন, এই নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ২০০ কোটি টাকা ঘুষ আদায় করা হয়েছিল বলে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন।
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশির সময়ে পুরসভার নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি জানিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে ইডি-র দাবি ছিল, ১০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের তথ্য মিলেছে। অয়নের সংস্থাকে দিয়ে পুরসভায় ‘গ্রুপ ডি’ পদে বহু বেআইনি নিয়োগ হয়েছিল। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পুর-নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেন। রাজ্য সরকার তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এসেছিল। গত এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে রাজ্য সরকারকে ফের কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানাতে বলে। কিন্তু হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্ত বহাল রাখায় রাজ্য সরকার নতুন করে সুপ্রিম কোর্টে এসেছে।
আজ রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে যুক্তি দিয়েছেন, সিবিআই, ইডি সব তদন্তে লাফিয়ে পড়তে পারে না। কোনও অভিযোগ থাকলে তার প্রাথমিক তদন্তের দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের। সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।