—প্রতীকী চিত্র।
কোটায় ফের আত্মহত্যা এক পড়ুয়ার। পরীক্ষার বাকি ছিল আর মাত্র দু’দিন। কিন্তু তার আগেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল ১৮ বছর বয়সি এক ছাত্রী। নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগে বাবা-মা’র উদ্দেশে একটি চিঠি লিখে রেখে গিয়েছেন তরুণী। তাতে লেখা, ‘‘মা-বাবা, আমি জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিতে পারলাম না।’’
নীহারিকা নামে ওই পড়ুয়া জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেনসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তার জন্যই কোটার শিক্ষা নগরী এলাকায় ঘরভাড়া নিয়ে থাকছিলেন তিনি। সেই ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। ৩১ জানুয়ারি তাঁর পরীক্ষা ছিল। কিন্তু সেই অবধি তিনি অপেক্ষা করেননি। মা-বাবার উদ্দেশে লেখা একটি চিঠিতে নীহারিকা লিখেছেন, ‘‘মা-বাবা, আমি জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিতে পারলাম না। আমি একজন হেরো। আমি সবচেয়ে খারাপ কন্যা। দুঃখিত মা-বাবা। এটাই শেষ রাস্তা ছিল।’’
পুলিশের অনুমান, পড়াশোনার চাপের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীহারিকা। ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁর সহপাঠীদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
চলতি বছর তথা মাসে কোটায় এই নিয়ে এটি দ্বিতীয় আত্মহত্যার ঘটনা। গত ২৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের এক ছাত্র কোটায় আত্মহত্যা করেন। তিনি একটি প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে মেডিক্যালের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘নিট’-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হস্টেলের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য রাজস্থানের কোটায় কোচিং নেন হাজার হাজার ছাত্র- ছাত্রী। কিন্তু প্রতি বছরেই একাধিক পড়ুয়া আত্মহত্যা করেন সেখানে, যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। ২০২৩ সালে কোটায় ২৯ জন ছাত্র- ছাত্রী আত্মহত্যা করেছিলেন। রাজস্থান সরকারের তরফে পড়ুয়াদের উপর মানসিক চাপ কমানোর জন্য কোচিং সেন্টারগুলিকে বিভিন্ন পদক্ষেপ করার কথা বলা হলেও তাতে যে বিশেষ লাভ হয়েছে, তেমনটা নয়।