Nyay Yatra entered Bihar

সরকার বদলের পর বিহারে ঢুকল ন্যায় যাত্রা, রাহুলের মুখে ফের ‘ভালবাসার দোকান’

সোমবার যখন কিষাণগঞ্জে প্রবেশ করল রাহুলের বাস, তখন সেখানে সরকার বদলে গিয়েছে। ‘মহাগঠবন্ধন’ থেকে বেরিয়ে রবিবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-তে যোগ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:০৯
Share:

সোমবার বিহারে প্রবেশ করল ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। ছবি: পিটিআই।

সোমবার সকালে বিহারে প্রবেশ করল রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। ১৪ জানুয়ারি যখন মণিপুর থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন রাহুল, তখন বিহারে ক্ষমতায় ছিল ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার, যে জোটের শরিক ছিল তাঁর দল কংগ্রেসও। কিন্তু সোমবার যখন কিষাণগঞ্জে প্রবেশ করল তাঁর বাস, তখন সেখানে সরকার বদলে গিয়েছে। ‘মহাগঠবন্ধন’ থেকে বেরিয়ে রবিবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-তে যোগ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তার পরেই জেডিইউ-এর সহযোগিতায় সে রাজ্যে সরকার গড়েছে বিজেপি। সেই জোট সরকারেও অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন নীতীশ কুমারই।

Advertisement

১৪ জানুয়ারি মণিপুরে রাহুলের যাত্রা শুরু হওয়ার পর অসম হয়ে গত বৃহস্পতিবার তা বাংলায় প্রবেশ করে। তার পর যদিও দু’দিনের বিরতি নিয়ে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন রাহুল। শনিবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকে যখন ফের তাঁর যাত্রা শুরু হয়, তখনও বিহারের রাজনীতিতে ক্ষমতায় ছিল ‘মহাগঠবন্ধন’ জোট। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সবটা ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একই থাকলেও সেখানে সরকারের কুর্শিতে জেডিইউ, বিজেপি এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝিঁর হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চার (হাম) জোট।

সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের সোনাপুর থেকে যাত্রা শুরু হয়ে সকাল ১১টা নাগাদ বিহারের কিষাণগঞ্জে পৌঁছয়। এটি মুসলমান অধ্যুষিত এলাকা। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকেই কিষাণগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রটি কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা আগামী কাল পূর্ণিয়া এবং পরশু কাটিহার দিয়ে যাবে। দু’টি জেলাই জেডিইউ-এর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। যখন যাত্রা শুরু হয়েছিল, তখন এই এলাকাগুলি কংগ্রেসের ‘পক্ষে’ ছিল। কিন্তু এখন সমীকরণ বদলেছে। ৩১ জানুয়ারি বিহার থেকে ফের বাংলায় ঢুকবে রাহুলের যাত্রা। মালদহের সুজাপুর হয়ে এগোবে তা। তার পর প্রবেশ করবে ঝাড়খণ্ডে।

Advertisement

সোমবার কিষাণগঞ্জ থেকে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল। কংগ্রেস সাংসদের কথায় আবার ফিরে এসেছে ‘ভালবাসার দোকান’-এর প্রসঙ্গ। এমনকি, মণিপুর ইস্যুতেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলেন রাহুল। তাঁর কথায়, বিজেপির আদর্শ দেশ নিয়ে হিংসা ছড়াচ্ছে। মানুষ আর্থিক, সামাজিক ন্যায় পাচ্ছেন না। সেই ঘৃণার রাজনীতির মাঝে ‘ভালবাসার দোকান’ খুলেছেন তাঁরা।

২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম বিহারে এলেন রাহুল গান্ধী। ২০২০ সালের নির্বাচনে এনডিএ জোট নীতীশ কুমারের অধীনে সরকার গঠন করে। কিন্তু ২ বছর পর, ২০২২ সালের অগস্টে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে যান নীতীশ। আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে পুনরায় হাত মেলান তিনি। সরকার গড়ে ‘মহাগঠবন্ধন’ জোট। লোকসভা নির্বাচনের আগে মূলত তাঁর উদ্যোগেই তৈরি হয়েছিল বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। কিন্তু সেই জোট থেকে বেরিয়ে রবিবারই বিজেপির হাত ধরে নবম বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তিনি।

কংগ্রেসের তরফে যদিও জানানো হয়েছে, নীতীশের এই ‘ডিগবাজি’তে ‘ইন্ডিয়া’র কোনও সমস্যা হবে না। রাজ্য কংগ্রেসের নেতারা জানিয়েছেন, বিহারে দলের জোট শরিক, আরজেডি এবং সিপিআই (এমএল)-এলকে পূর্ণিয়ার সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement