পুলিশের দাবি, ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন ৫ অভিযুক্ত। প্রতীকী ছবি।
ইউটিউবের ভিডিয়ো পছন্দ করার কাজ করলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে মোটা অঙ্কের টাকা। চাকরির শর্ত ছিল এমনই। তবে সে চাকরির শর্তমাফিক গোড়ায় মোটা অঙ্কের টাকা পেলেও উল্টে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ। পুলিশের কাছে এই অভিযোগ করেছেন মুম্বইয়ের এক যুবতী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মহারাষ্ট্রের ৬টি ‘ভুয়ো’ সংস্থার ৫ ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৯ বছরের এক যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি পুণের বিন্দুসার শেলার, মহেশ রাউত, যোগেশ খোলে এবং অমরাবতীর অক্ষয় খডসে এবং অমিত তনবর নামে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ১১.৪ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ করেছেন ওই যুবতী।পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে যুবতীর দাবি, চাকরির জন্য দু’টি পোর্টালে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ পেয়েছিলেন। ইউটিউবের নানা ভিডিয়ো পছন্দ করে তার স্ক্রিনশট ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠানোর কাজে তিনি আগ্রহী কি না, তা জানতে চেয়ে মেসেজটি করেছিলেন এক সংস্থার কর্তা। তাতে মুনাফাও জুটবে বলে জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
এই চাকরিতে রাজি হয়ে একটি ভিডিয়ো পছন্দ করতেই ৭৫০ টাকা অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল। পরে ওই সংস্থায় তরফে তাঁকে একটি অ্যাপের মাধ্যমে ওই সংস্থার গ্রুপে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ‘ভার্চুয়াল ওয়ালেট’ খুলতে বলা হয়। পরে তাঁকে বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছিল। তাতে ওই ওয়ালেটে মুনাফার ৩ লক্ষ টাকা জমা পড়ে। তবে পরে মুম্বই পুলিশের নামে একটি ‘ভুয়ো’ চিঠি পান তিনি। চিঠিতে জানানো হয়, তাঁর ওয়ালেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তা চালু রাখার জন্য টাকা পাঠাতে হবে। এ ভাবে দু’সপ্তাহের মধ্যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১১.৪ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে যায়।
তদন্তে নেমে যুবতীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিপত্র খতিয়ে দেখে ওই ৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, অভিযুক্তেরা পুণেতে একটি অফিস খুললেও সেটি আসলে ভুয়ো সংস্থা।