স্টোরিয়ার প্যাকেটজাত জাবের জল। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।
আমেরিকা থেকে পড়াশোনা শেষ করে তখন মুম্বইয়ে ফিরেছিলেন ৩০ বছরের বিশাল শাহ। ভারতে এসে তিনি বিভিন্ন দোকানে ডাবের জলের খোঁজ করতেন। কিন্তু অন্যান্য বিভিন্ন পানীয় পেলেও ডাবের জল মিলত না। তাই তিনি ঠিক করলেন ডাবের জলকে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করবেন। তার পর নিজেই খুলে ফেললেন একটা সংস্থা। সেই সংস্থা এখন প্রতি মাসে বিক্রি করে দেড় লক্ষ প্যাকেটেরও বেশি ডাবের জল।
বিশালের সংস্থার নাম ‘স্টোরিয়া’। ডাবের জলের পাশাপাশি স্টোরিয়া বাজারে এনেছে বিভিন্ন ফ্রুট জুসও। ২০১৭-র ১৭ এপ্রিল সংস্থা খোলার পর ২০১৯ আর্থিক বর্ষে স্টোরিয়ার লাভ হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। প্রতি মাসে দেড় লক্ষ ডাবের জলের প্যাকেটের পাশাপাশি প্রায় পাঁচ লক্ষ বোতল ফ্রুট জুস বিক্রি করছে স্টোরিয়া।
এই ডাবের জলকে প্যাকেটজাত করা নিয়ে স্টোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশাল শাহ বলেছেন, ‘‘আমেরিকা থেকে ফিরে দোকানে অন্য পানীয় পেলেও ডাবের জল পেতাম না। যে বাড়িতে ডাবের জল দিয়ে যায়, সেও মাঝেমধ্যেই আসে না। তাই ভাবছিলাম কী করা যায়?’’
তার পরই ডাবের জল প্যাকেটজাত করা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন তিনি। তবে তাঁর কোম্পানির প্যাকেটজাত ডাবের জলে কোনও কৃত্রিম দ্রব্য মেশানো হয় না বলে দাবি তাঁর। ভারতের বাজারে ক্রেতাদের এ ব্যাপারে সচেতন করতেও বিস্তর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁর সংস্থাকে। অবশেষে সেই কাজে তাঁর সংস্থা যে সফল সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আয়ারাম-গয়ারামদের ঠেকাতে দলত্যাগ-বিরোধী আইনে বদলের দাবি
আরও পড়ুন: ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা উদ্দেশ্য নয়, কাশ্মীর ঘুরে বললেন ইইউ এমপি-রা