প্রতীকী ছবি।
পানীয়ের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে নিজেরই অধস্তন কনস্টেবলকে ধর্ষণ। ভিডিয়ো তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ। তার পরও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ সাব ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে। আর এই নিয়েই সরগরম মুম্বইয়ের পুলিশ মহল। অভিযুক্ত সাব ইনস্পেক্টর অমিত শেলার-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
মুম্বই পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অজয় কদম বলেন, ‘‘কামোঠে এলাকায় অভিযুক্ত সাব ইনস্পেক্টরের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), এবং ৩২৮ ধারায় (বিষাক্ত কিছু দিয়ে ক্ষতি করা) মামলা রুজু হয়েছে।’’ এছাড়া নির্যাতিতা তফসিলি সম্প্রদায়ের হওয়ায় পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ধারাও যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন কদম।
অভিযোগ পত্রে বছর একত্রিশের ওই মহিলা কনস্টেবল জানিয়েছেন, ‘‘২০১৭ সালে একটি মামলার তদন্তের কথা বলে অভিযুক্ত অমিত শেলার আমাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যান। ওই গাড়ির মধ্যেই ঠান্ডা পানীয় দেন। সম্ভবত পানীয়ের মধ্যে ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু ছিল। এর পর ওই গাড়ির মধ্যেই আমাকে ধর্ষণ করেন। মোবাইলে ভিডিয়ো তুলে রাখেন। ওই ভিডিয়ো দেখিয়ে আমাকে আরও কয়েক বার বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ করে অমিত।’’
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, কাশ্মীরে ফের যুবককে অপহরণ করল জঙ্গিরা
আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতা দু’জন একই ব্যাচে নিয়োগ পান। ২০১০ সালে কাজে যোগ দেন। পরে বিভাগীয় পরীক্ষায় পাশ করে সাব ইনস্পেক্টরে পদোন্নতি হয় অমিতের। ২০১৭ সালে নবি মুম্বইয়ের একটি থানায় দু’জনেই একই সঙ্গে কাজের সুবাদে ফের দু’জনের পরিচয় হয়। মহিলার অভিযোগ, গত সাত-আট মাস ধরে অমিত
আরও পড়ুন: পুরনো প্রেমিককে ফিরে পেতেই ধর্ষণের অভিযোগ করেন মহিলারা, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক
সম্প্রতি নির্যাতিতার বন্ধু-বান্ধবরা ওই ভিডিয়ো ইন্টারনেটে দেখার পর তাঁকে জানান। তার পর তিনি কার্যত মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। তবে বাড়িতে গোটা বিষয়টি জানান। তাঁর মা-বাবার পরামর্শেই তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)