Coronavirus in India

৩১ ডিসেম্বর রাতে মুম্বইয়ে বন্ধ জমায়েত

দেশে করোনা সংক্রমণের নিরিখে প্রথম থেকেই শীর্ষে মহারাষ্ট্র।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ উপলক্ষে এ বার ৩১ ডিসেম্বর রাতে মুম্বইয়ে কোনও পার্টি-জমায়েত করা যাবে না। এই মর্মে আজ নির্দেশিকা জারি করেছে মুম্বই পুলিশ। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, রাত্রিকালীন কার্ফু শিথিল করা হবে না। শহরে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।

Advertisement

দেশে করোনা সংক্রমণের নিরিখে প্রথম থেকেই শীর্ষে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্য দৈনিক সংক্রমণে এখনও প্রথম পাঁচে। মুম্বই পুলিশের ডিসি এস চৈতন্য বলেন, ‘‘প্রতি বছর বর্ষবরণের রাতে মুম্বইয়ে বিশাল জমায়েত হয়। কিন্তু এ বার করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তা সম্ভব নয়। বাড়ির ছাদ, বার-রেস্তরাঁ, সমুদ্র সৈকত কোথাও পার্টি-জমায়েতের অনুমতিও দেবে না প্রশাসন।’’ ৩১ ডিসেম্বর রাতের বিষয়ে একটি নির্দেশিকাও প্রকাশ করেছেন মুম্বইয়ের ডিসিপি। বর্তমানে মুম্বইয়ে রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নৈশ-কার্ফু জারি রয়েছে। এস চৈতন্য বলেন, ‘‘রাত্রিকালীন কার্ফু জারি রয়েছে, তার সঙ্গে এ বার জারি করা হচ্ছে ১৪৪ ধারা। চার জনের বেশি রাস্তায় বার হতে পারবেন না। রাত ১১টার পরে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা যাবে, কিন্তু ওই গাড়িতে চার জনের বেশি যাত্রী থাকা চলবে না।’’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর যে কোভিড নির্দেশিকা জারি হয়েছিল, তা আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। মন্ত্রকের যুক্তি, দেশে করোনা সংক্রমণ কমছে। কিন্তু বিশ্বের পরিস্থিতি ও নয়া করোনা স্ট্রেনের কথা মাথায় রেখেই কোনও শিথিলতা দেখানো যাবে না। গত ২৫ নভেম্বরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, পরিস্থিতি বিচার করে রাজ্যগুলি রাত-কার্ফু জারি করতে পারবে, ছোট কন্টেনমেন্ট জ়োন গড়ার উপরে জোর, কন্টেনমেন্ট জ়োনের বাইরে লকডাউন করা যাবে না, কর্মস্থলে বা সর্বজনীন এলাকায় মাস্ক না পরলে রাজ্য সরকার জরিমানা করতে পারবে। নভেম্বরের নির্দেশিকার মেয়াদ ছিল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দৈনিক করোনা সংক্রমণ গত সপ্তাহে ২০ হাজারের নীচে নামার পরে তা ফের ২৩-২৪ হাজারে পৌঁছেছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড-আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজারের সামান্য বেশি। দৈনিক মৃত্যু তিন দিন ধরে ৩০০-র নীচে। করোনা নিয়ে নয়া স্লোগান দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটাওয়ালে। এর আগে তাঁর ‘গো করোনা’ স্লোগান চর্চার বিষয় হয়েছিল। গত কাল তিনি বলেন, ‘‘আমি কয়েক মাস আগে ‘গো করোনা, করোনা গো’ স্লোগান দিয়েছিলাম। এখন করোনা আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে। তাই করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের জন্য ‘নো করোনা, করোনা নো’ স্লোগান দিচ্ছি।’’ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে আজ জানিয়েছেন, তাঁর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘লভ’-এর মধ্যে ‘জিহাদ’ থাকতে পারে না, ধর্মান্তরণ আইন নিয়ে একহাত নিলেন অমর্ত্য সেন

আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের ৫ কোটি টিকার বেশির ভাগটাই প্রথমে পাবে ভারত: সিরামের শীর্ষকর্তা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement