(বাঁ দিকে) দাউদ ইব্রাহিম এবং দানিশ চিকনা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মুম্বই পুলিশের মাদক-বিরোধী অভিযানে ধরা পড়লেন দাউদ ইব্রাহিমের ‘সহযোগী’ দানিশ মার্চেন্ট ওরফে দানিশ চিকনা। চলতি সপ্তাহে এক মাদক মামলার তদন্তে মুম্বইয়ের ডংরি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডংরিতে দাউদের মাদক কারবার তিনিই দেখভাল করতেন বলে অভিযোগ। দানিশের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর সহযোগী কাদের গুলাম শেখকেও। রবিবার মুম্বই পুলিশ সূত্রে এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। গত প্রায় এক মাস ধরে একটি মাদক মামলার তদন্ত চালাচ্ছে মুম্বই পুলিশ। এই মামলার সূত্র ধরেই ডংরিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় দানিশকে।
গত ৮ নভেম্বর মুম্বইয়ের মেরিন লাইন্স স্টেশন থেকে ১৪৪ গ্রাম মাদক উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করে মহম্মদ আশিকুল শহিদুর রহমান নামে এক পাচারকারীকে। সেই থেকেই তদন্তের শুরু। রহমানকে জেরা করে রেহান শাকিল আনসারির নাম জানতে পারে পুলিশ। রহমান পুলিশকে জানায়, ডংরির বাসিন্দা আনসারির থেকেই সেই মাদক পেয়েছেন তিনি। রহমানের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আনসারির উপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। ৫৫ গ্রাম মাদক-সহ গ্রেফতারও করা হয় তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, আনসারিকে জেরা করার সময়েই এই মাদক মামলায় প্রথম দানিশের নাম উঠে আসে। সঙ্গে কাদির ফন্টা নামে আরও এক অভিযুক্তের সন্ধান পায় পুলিশ।
সেই সূত্র ধরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দানিশ এবং কাদিরের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৩ ডিসেম্বর ডংরিতে হানা দেয় মুম্বই পুলিশের একটি বিশেষ দল। ওই অভিযানেই গ্রেফতার হন দানিশ।
২০২১ সালেও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন দানিশ। ডংরিতে দাউদের মাদক কারবারের যোগেই তাঁকে সেই সময়ে গ্রেফতার করা হয়। এনসিবি তাঁর খোঁজ শুরু করতেই রাজস্থানে পালিয়ে গিয়েছিলেন দানিশ। শেষে রাজস্থানের কোটা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও পরে ছাড়া পেয়ে যান তিনি।